বাগদায় পণের দাবিতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী ও দেওর

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৮ জুন: পণের দাবিতে বধূর গাঁয়ে কিরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী ও দেওর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা থানার মালিপোঁতা এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম রেণু রায়। রেণু রায়ের দাদার ই-মেলের মাধ্যমে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বাগদা থানার পুলিশ স্বামী কমল রায় ও দেওর অমল রায়কে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, রেণু রায়ের বাপের বাড়ি রাজস্থান। ২০১১ সালে রাজস্থানের আজমীঢ় এলাকায় কাজ করতে যায় কমল রায়। ২০১২ সালে সেখানেই রেণুর সঙ্গে আলাপ হয় ও তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জানাজানি হওয়ার পর কমল রায়ের সঙ্গে রেণুর পরিবার বিয়ে দেন। বিয়ের একমাস পর কমল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বাগদায় চলে আসেন। এরপর থেকেই পণের দাবি করে রেণুর ওপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত কমল ও অমল এমনই অভিযোগ রেণুর পরিবারের। ঘটনার কথা রেণুর পরিবার জানার পর রেণুর দাদা দুই ধাপে প্রায় ৫০ হাজার টাকাও পাঠায়। কয়েক মাস ধরে ফের দুই ভাই টাকার জন্য চাপ দেয় রেণুকে। রেণু তাঁর পরিবারের কাছ থেকে টাকা চাইতে অস্বীকার করে। শুরু হয় ফের অত্যাচার।

বৃহস্পতিবার অশান্তি চরমে ওঠে। ওই দিন রাতে কমল ও অমল দুই ভাই রেণুকে ঘর বন্দি করে গাঁয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সকালে রেণুর মৃত্যু হয়। এরপর রেণুর দাদা ই-মেইল করে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই দুই ভাইকে গ্রেফতার করে। রবিবার ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *