আমাদের ভারত, ২৮ নভেম্বর:
তৃণমূল সংসদ শান্তনু সেনের মেয়ের ডাক্তারি পড়া নিয়ে বাকযুদ্ধ অব্যাহত। তৃণমূল সাংসদকে ফের পাল্টা প্রশ্ন তুলে আক্রমণ শানালেন সুকান্ত মজুমদার। সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা অর্থাৎ নিটে যার র্যাঙ্ক ছিল ১ লক্ষের উপর তিনি কীভাবে আর জি কর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলেন? রীতিমতো প্রমাণ দিয়ে এবার সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রবিবার দুপুরে পর একটি টুইট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূল সংসদকন্যা সৌমিলি সেন নিট অর্থাৎ সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি, অথচ এমবিবিএস পড়ছেন। এর পাল্টায় মেয়ের বেশ কিছু সার্টিফিকেট টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ। দাবি করেন তার মেয়ে বরাবর মেধাবী। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তার রেজাল্ট দুর্দান্ত। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন, নিট পাস না করে কেউ ডাক্তারি পড়তে পারেন না।
এরপর সুকান্ত মজুমদার সোমবার সেই টুইটের উত্তর দিয়েছেন। নিট পরীক্ষার রেজাল্টে সৌমিলির ১ লক্ষ ২১ হাজার ৪৭৩ র্যাঙ্ক করা তালিকা তিনি টুইট করেন। এরপর পোস্টে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “আপনি দাবি করেছিলেন আপনার মেয়ে মেধাবী। কিন্তু নিট পরীক্ষায় তার র্যাঙ্ক ১ লক্ষের বেশি। তাহলে কিভাবে সে ভর্তি হল আরজিকর মেডিকেল কলেজে?”
সুকান্ত দাবি করেছেন, সুবর্ণ বণিক সমাজ কোটায় ভর্তি করা হয়েছে সৌমিলি সেনকে।বিজেপি সাংসদের প্রশ্ন, আর পাঁচজন সাধারণ ছাত্র কি এই ফলের পরেও বিশেষ কোটায় আরজিকর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন? এরপরেও কি আমি আইনের যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করবো?”
You said that your daughter is a meritorious student but she got a 1,21,473 rank yet got admitted to RG Kar via a trust quota of 'Subarna Banik Samaj'.
Can a normal student get admission with such a rank?
Shall I still wait for the Legal consequences ???? https://t.co/ouh2RwNT5g pic.twitter.com/l8HiJu0gkh— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) November 28, 2022
এরপর ফের শান্তনু সেন টুইটারে লেখেন, “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযানের কথা মুখে, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও মহিলা ক্ষমতায়নের কথা বলে এক ডাক্তারি ছাত্রীকে আতঙ্কিত করে তুলেছেন। রাজনৈতিক ভাবে বাবার সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে মেয়েকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এরপর আবারও আইনি পদক্ষেপে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
Thank you Dr. Sen for accepting the veracity of the documents shared by me. Rest, you're free to create hullabaloo and shy away from facts. I put one tweet and you had to tweet thrice in order to counter my claims and failed miserably. https://t.co/QT1gHDy74w
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) November 28, 2022
কিন্তু তাতে কোনো ভাবেই দমে যাননি সুকান্ত। পাল্টায় কটাক্ষের সুরে তিনি লিখেছেন, “আমার তুলে ধরার নথিকে গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ।” অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন তার বলাকথা নস্যাৎ না করে তৃণমূল সাংসদ অন্যকথা লিখে আসলে তার কথাকে মান্যতা দিয়েছেন। এখন দেখার এই ঘটনা সত্যি আইনি লড়াইয়ের দিকে এগোয় কিনা?