রান্নায় পুষ্টিগুন বজায় রাখবেন কিভাবে

ডাঃ প্রশান্ত কুমার ঝরিয়াৎ
আমাদের ভারত, ১৬ ফেব্রুয়ারি: রন্ধন পটিয়সীদের চাহিদা অনেক। হাতের গুনে রান্নার স্বাদ বাড়ে। কিন্তু এই রান্না করতে গিয়ে আমরা ভুল বশত এমন কাজ করে বসি যাতে ঐ রান্নার পুষ্টির মান কমে যায়। আসুন আজ আমরা দেখি রান্না করার সময় কিকি সাবধানতা অবলম্বন করলে খাবারের পুষ্টি গুন বজায় থাকে।
ভাতের চাল বার বার ধুলে অথবা ভাতের ফ্যান ফেলে দিলে জলে দ্রবনীয় ভিটামিনগুলি নষ্ট হয়ে যায়, বিশেষত বি-কমপ্লেক্স ভিটামিনের অভাব ঘটে, তার ফলে জিভে, মুখে ঘা হয়ে যায়। তাই চালের সাথে অতিরিক্ত জল না দিয়ে শুধু মাত্র পরিমাণ মতন জল দিয়ে প্রেসারকুকারে সেদ্ধ করা উচিত।
আমরা জানি সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। কিন্তু খোলা পাত্রে বহুক্ষন ধরে সব্জি রান্না করলে বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ভিটামিন এ নষ্ট হয়ে যায়।
অনেকে সব্জি রান্না করার সময় এর রঙ ঠিক রাখার জন্য খাবার সোডা মেশান, কিন্তু এর ফলে সব্জির খাদ্যগুন নষ্ট হয়ে যায়।

ভিটামিন সি অল্প তাপেই নষ্ট হয়ে যায়, তাই রান্না করা খাবারে ভিটামিন সি পাওয়া যায় না বললেই চলে। শরীরে ভিটামিন সি র জন্য তাই প্রচুর পরিমাণে স্যালাড খেতে হবে, ফল খেতে হবে।
আলুর খোসা কাঁচা অবস্থায় না ছাড়িয়ে আগে আলুকে সেদ্ধ করে তবে ছাড়ান, এতে অপচয় কমবে।
ডাল রান্না করার সময় উচ্চ তাপে রান্না করতে হবে, এতে ডাল সূসিদ্ধ হবে ও শরীরের গ্রহণ যোগ্য হবে। কিন্তু মাংস রান্নার সময় ঢিমে আঁচে কষতে হবে নতুবা এটি সুসিদ্ধ হবে না।
ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার, কিন্তু এটিকে কখনও কাঁচা বা আধসেদ্ধ খাবেন না। কাঁচা ডিমে এভিডিন বলে একটি প্রোটিন আছে যা আমাদের শরীরের ভিটামিন ই কে ধ্বংস করে।

পরিশেষে জানাই যারা রান্না করবেন তাদের হাতেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। তাই সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্নভাবে, পরিস্কার হাতে, পরিস্কার বাসন পত্রে এবং পরিস্কার কাপড়ে রান্না করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *