“আমার অসময়ে যারা আমাকে দেখল না তারা কিভাবে দেশের মানুষকে দেখবে”, পুরসভা নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক জয় বন্দ্যোপাধ্যায়

আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৭ ফেব্রুয়ারি: আমি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ১৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়লেও দলের কোনো নেতাকে পাশে পাইনি। আর যারা আমার অসময়ে আমাকে দেখল না তারা কিভাবে দেশের মানুষকে দেখবে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সদ্য বিজেপি ত্যাগ করা নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়ার রবীন্দ্রভবনে উলুবেড়িয়া পুরসভার তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের এক কর্মী সভায় এই প্রশ্ন তোলেন জয়।

এদিকে জয় বিজেপি ত্যাগ করলেও এখনও তৃণমূলে যোগ না দিয়ে কিভাবে তৃণমূলের কর্মী সভায় যোগ দিলেন ইতিমধ্যে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও জয়ের দাবি, তৃণমূলের কর্মী নয় একজন অভিনেতা হিসেবে হলদিয়া যাওয়ার পথে উলুবেড়িয়ার এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দীর্ঘদিন তিনি হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও গত বছর একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জয়। দীর্ঘ ১৮ দিন বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জয়ের অভিযোগ, সেই সময় কোনো বিজেপি নেতা তার পাশে দাঁড়ায়নি। আর সেই কারণে গত নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মেইল করে বিজেপি ছাড়ার কথা জানিয়ে দিই। জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ছাড়ার পর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন করেছি। দল যেদিন সময় দেবে সেইদিন তৃণমূলে যোগ দেব। এদিন জয় অভিযোগ করেন, ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি করলেও বিপদের দিনে দল তার পাশে দাঁড়ালো না। তবে তাতে দুঃখ নেই। এখন শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।

এদিন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলায় সব চোরে ভর্তি হয়ে গেছে। অনেক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। যারা বাংলার সেন্টিমেন্ট বোঝে না তাদের ভোট দেওয়া উচিত নয় বলেও জানান জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের এই কর্মিসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা ২৭ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অভয় দাস, ৩১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ইনামুর রহমান, ৩২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী আকবর শেখ, উলুবেড়িয়া পূর্ব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *