সুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৫ সেপ্টেম্বর: ইলিশ পাচার করতে গিয়ে ফের হাতেনাতে ধরা পড়ল এক পাচারকারী। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে। ধৃতের নাম সাইফুদ্দিন মণ্ডল। ধৃতের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কেজি ইলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। যার বাজারদর ১ লক্ষ টাকারও বেশি।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লাগোয়া পেট্রাপোল সীমান্তে আর পাঁচদিনের মতো রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিল বিএসএফ। সেই সময় একটি ট্রাক দেখে তাদের সন্দেহ হয়। তাতে তল্লাশি চালায় বিএসএফ। উদ্ধার হয় ৬টি বস্তায় ভরা ইলিশ মাছ। যার ওজন ১০০ কেজি। বাজারদর ১ লক্ষেরও বেশি।
বিএসএফ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই ট্রাকচালক উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের বাসিন্দা। জেরায় সে জানিয়েছে, ট্রাকে করে যন্ত্রপাতি নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে কেউ তার ট্রাকে ৬ বস্তা ইলিশ তুলে দিয়েছে। এছাড়াও তাকে ছ’হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছিল। বনগাঁর এক ব্যক্তির কাছে ওই ইলিশ পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই পর্দাফাঁস। বমাল গ্রেপ্তার ওই ট্রাকচালক। তাকে জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজ পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২০০ মাছ রপ্তানিকারক ভারতে ইলিশ রপ্তানির জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। তার মধ্যে কেবল ন’জনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবার বাংলাদেশে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা-সহ সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। যে মাছের দাম খুবই কম। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিকোচ্ছে ৮০০-১১০০ টাকা। আর তার কম ওজনের ইলিশ ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত দাম না মেলায় খুশি নন মৎস্যজীবীরা। তাই ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত। ধাপে ধাপে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ঢুকছে মোট ১৪৫০ টন বাংলাদেশি ইলিশ। তবে পদ্মার ইলিশ পাচার তাও রোখা যাচ্ছে না।