স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৮ জুলাই: চার মাস আগে বিয়ে হওয়া এক গৃহবধূকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে করণদিঘি থানার পুটিমারী গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত ওই গৃহবধূর নাম বিজনী সিংহ (১৯)। এই ঘটনায় স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, করণদিঘি থানার পুটিমারী গ্রামের বাসিন্দা প্রমথ সিংহের সাথে করনদিঘি থানার পারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শোভারানী সিংহের মেয়ে বিজলী সিংহের সাথে চার মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস পর থেকে স্বামী প্রমথ সিংহ বিজলী সিংহের উপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার করতো বলে অভিযোগ। টাকা পয়সার জন্য প্রায়শই বিজলীকে মারধর করতো স্বামী প্রমথ সিংহ বলে অভিযোগ। প্রমথ সিংহ ফোনের মধ্যেই মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিত বলেও অভিযোগ করেন বিজলী মা ও দিদি। মারধরের বিষয়টি বিজলী তার মা ও দিদিকে জানাতো। এদিন সকালে স্বামী প্রমথ সিংহ বিজলীকে মারধর করার সময় দিদিকে ফোন করে মারধরের কথা বলে ফোনটি কেটে দেয় প্রমথ সিংহ। পরে আবার ফোন করা হলে জানা যায় বিজলী মারা গিয়েছে।
মেয়ের মৃত্যুর খবর শোনা মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিজলীর মা ও দিদি। বাড়িতে এসে দেখে মেয়ে ঝুলে আছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন করণদিঘি থানার পুলিশ। বিজলী মা শোভারানী সিংহের অভিযোগ, স্বামী প্রমথ সিংহ আমার মেয়েকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যে আমার মেয়েকে মেরেছে তার উপযুক্ত শান্তি চাই বলে জানান মা শোভারানীদেবী। বিজলীর মা শোভারানী সিংহের অভিযোগে স্বামী প্রমথ সিংহকে আটক করে করণদিঘি থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।