অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, কলকাতা, ৬ ফেব্রুয়ারি : আদতে ছিলেন বিজ্ঞানী। গবেষণা করতেন ক্যান্সার নিয়ে। কর্মজীবন থেকেই ডুবে গিয়েছিলেন লেখালেখি এবং সংগ্রহে। লেখালেখি বলতে স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্যারডি, মজার কবিতা প্রভৃতি। আর সংগ্রহ বলতে ডাকটিকিট, দেশলাই, নোট ও মুদ্রা, পাখির বাসা। এরকমই বিচিত্র উৎপল সান্যাল।
এ বছর বইমেলায় জ্ঞানমুদ্রা প্রকাশনার ‘আমি আমার মতো’ ত্রৈমাসিক পত্রিকার সংগ্রাহক সংখ্যা বেরিয়েছে। এতে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের ১৫ জন সংগ্রাহকের নানা সংগ্রহের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি পাতায় আছে উৎপলবাবুর নানা শখ ও সংগ্রহের কথা ‘আমার সংগ্রহ’ (পৃষ্ঠা ২২-২৬)। একবার বেতারের একটি অনুষ্ঠানে এত সব শখের কথা শুনে উপস্থাপকরা তাঁকে ‘হবিরাজ’ উপাধিতে ভূষিত করেন! অন্য সময় টিভির একটি চ্যানেলে উপস্থাপক ‘শখসম্রাট’ বলেছিলেন!
এরকমই বাছাই করা কিছু বিচিত্র সংগ্রাহক আছেন এই সংকলনে। তাঁরা হলেন সোহন চক্রবর্তী (বিশ্ব খোঁজা বিশ্বকোষে), সৌভিক মুখার্জি (সংগ্রাহকের আমি আর এফেমেরা চর্চা), সুমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় (আমার সংগ্রহ ও আগামী প্রজন্ম), তাপস কুমার বসু (আমি এবং আমার সংগ্রহ চর্চা),
অরূপ রায় (সংগ্রহ, সংগ্রাহক ও আমি), অপূর্ব কুমার পান্ডা (আমি আমার মতো), অনিন্দ্য কর (সংগ্রহ সম্পর্কে কয়েকটা কথা), ভাস্কর চক্রবর্তী (টিকিটের বিভিন্ন রুপ), অসিত পাল (নিজের সংগ্রহ নিজেই আবিষ্কার করে পাই রোমাঞ্চ), উজ্জ্বল সরদার (আমার সংগ্রহ জীবন), পরিমল রায়ের সংগ্রহ জীবন (অনুলিখন: উজ্জ্বল সরদার), ফাল্গুনী দত্ত রায় (আমার ভালোলাগার সংগ্রাহক জীবন), সৌমেন নাথ (আমার সংগ্রহ ও কিছু কথা), গৌতম মিত্র (আমার সংগ্রহের গল্প)।
সংগ্রহযোগ্য তথ্যপূর্ণ বইটি করুণাময়ী মোড়ের কাছে বইমেলার ৯ নম্বর গেটের কাছে লিটল ম্যাগাজিন স্টলের ৭৬ নম্বর টেবিলে পাওয়া যাচ্ছে (দাম ১৫০ টাকা)।