“সিপিএমকে সাফ করেছি, এ বার পিসি-ভাইপোকেও একেবারে গ্যারেজ করবো,” নন্দীগ্রামে বললেন শুভেন্দু

আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৪ মার্চ: মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘একেবারে গ্যারেজ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে ‘শহিদ দিবস’ পালন করতে গিয়ে এমনই আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন তিনি। শুভেন্দু অবশ্য সরাসরি মমতা বা অভিষেকের নাম করেননি। তাঁদের তিনি সম্বোধন করেছেন ‘পিসি-ভাইপো’ বলে।

গত ডিসেম্বরে তিনটি তারিখে ‘নজর’ রাখার কথা বলেছিলেন শুভেন্দু। ঘোষণা করেছিলেন, বড় কিছু হবে বলেও। যদিও রাজ্য রাজনীতিতে তেমন ‘বড়’ কোনও পরিবর্তন তখন ধরা পড়েনি। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে ‘শহিদ দিবস’ পালন করেন শুভেন্দু।

প্রসঙ্গত, আদালত তাঁকে ওই সভা করা নিয়ে কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছিল। সেগুলি মেনেই কর্মসূচি পালন করেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “পশ্চিমবঙ্গের এই গণতন্ত্র ধ্বংস! এমনিতেও ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বাকি যা আছে, সাফ করব। আমি এই শহিদ বেদিকে সামনে রেখে বলে গেলাম। সিপিএমকে সাফ করেছি। এ বার পিসি-ভাইপোকেও একেবারে গ্যারেজ করবো। আগামী বছর দেখা হবে। তখন ভাইপো বাইরে থাকবে না। ভিতরে থাকবে। আর যাঁরা যা যা করছেন, চন্দ্রগুপ্তের ডায়েরিতে লেখা থাকলো।”

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল। সেই দিনটি বরাবরই ‘শহিদ দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছেন শুভেন্দু। তিনি বিজেপিতে যাওয়ার পর নন্দীগ্রামে একই দিনে পৃথক কর্মসূচি পালন করে তৃণমূলও। এ বার বিজেপি অভিযোগ তোলে, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু ‘শহিদ দিবস’ পালনের আর্জি জানিয়ে পুলিশের কাছে সভা করার অনুমতি চাইলেও তা দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু। উচ্চ আদালত তাঁকে ‘শর্তসাপেক্ষে’ সভা করার অনুমতি দেয়। যা নিয়ে শুভেন্দুর ব্যাখ্যা, “এখানে অধিকার সকলের আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে। সব মানুষের আছে। এখানে যুদ্ধ হবে। এখানকার মানুষ খেতে পায় না। চাকরি পায় না। এই গ্রামের ১০০ ছেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য
কর্ণাটকে, গুজরাতে গিয়ে না খেয়ে ফ্লাইওভারের নীচে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে রাত কাটায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *