আমাদের ভারত, বর্ধমান, ২৪ নভেম্বর:
মঙ্গলকোট এলাকায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে আমাকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিতে হবে। আমি তাঁর অনুগত হয়ে কাজ করতে পারবো না। বর্ধমানে এসে এভাবেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলকে একহাত নিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
মঙ্গলবার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর কথায়, মিথ্যে মামলায় বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক জেল খাটছে। যদিও তারা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের শিকার। তাদের জেলে রাখলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, যারা জেলে আছে তারা কেউ সিপিএম নয় কেউ বিজেপি নয়। আমি দলকে বলেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এরা বিনা কারণে জেল খাটছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অনেকে আবার জামিন পেয়েও গ্রামে ঢুকতে পারছে না। আমি সেখানে কর্মসূচি নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু এতে কেউ যদি রণমূর্তি ধরে ঝুটঝামেলা করে। দলের পক্ষ থেকে যারা এসব কাজ করছে সেটা ঠিক নয়। পুলিশকে জানিয়েছি যাদের গাঁজা কেস দেওয়া হয়েছে তারা গাঁজা আফিম খাওয়া লোক নয়।
সিদ্দিকুল্লা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ চাইছে মঙ্গলকোট এলাকায় দলের দায়িত্ব যাতে আমি নিই। আমি জানিয়েছি সেই সিদ্ধান্ত দল নেবে। মুখ্যমন্ত্রী নেবে। কিন্তু আমায় কাজ করতে হলে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলে, আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিলে সেখানে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
অনুব্রত মন্ডল ওই এলাকার দায়িত্ব সামলান, এই প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, আমাকে দায়িত্ব দিলে স্বাধীন ভাবে দায়িত্ব দিতে হবে। না হলে সেখানে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি জেতাবেন। আমি তার অনুগত হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত নই। আমি তার মেজাজ চিনি। গত নির্বাচনে তারা কি করেছে সেটা সবাই জানে। তাই জেনেশুনে হাত পোড়াতে রাজি নই।
বালিরঘাটের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন,
মঙ্গলকোট এলাকায় বাইশটা বালিরঘাট আছে। সেখানে বৈধ বালিঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠছে। ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।