সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৪ ডিসেম্বর: গেরুয়া ঝড়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে! আর তাই, রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল। কার্যত তৃণমূলের এখন বক্তব্য ‘ বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী।’ একই সঙ্গে ইচ্ছুক দল ত্যাগীদের কোনও রকম আটকানোর পন্থা অবলম্বন না করে আজ দলের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির সাধারণ সভায় জেলা নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, “কেউ যেতে চাইলে যাক।” এই বক্তব্যে সহমত জানিয়েছেন এদিন সভায় যোগ দেওয়া অধিকাংশ তৃণমূল পদাধিকারী। তবে, এদিন সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় অন্যান্য নেতা কর্মীদের পরোক্ষ ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, গেরুয়া শিবিরে গেলে লাভ হবে না বরং ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন তাঁরা।
এদিন মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল বিধায়ক দের বিজেপিতে যোগ প্রসঙ্গ এদিন নেতাদের বক্তব্যে উঠে আসে বার বার। শুভেন্দু অধিকারী কোনও ফ্যাক্টর নয়, বরং তিনি বিজেপিতে যাওয়াতে তৃণমূল কলংক মুক্ত হল বলে সভা শেষে জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান।
১ জানুয়ারী দলের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে নিচু তলার কর্মীদের চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হচ্ছে তৃণমূল। এদিন জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু এই ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “জেলা সদরে বা ব্লকে ব্লকে শুধু নয়, দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হবে জেলার ১৭০টি অঞ্চলেই। ২০০ জন কর্মীকে নিয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করার জন্য ব্লক নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয় আজ।
এদিন পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দির আয়োজিত দলের সাধারণ সভায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৪ জন বিধায়ক অনুপস্থিত থাকলেও দুই মন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।