
রাজেন রায়, কলকাতা, ৩০ জুন: একদিকে করোনার কারণে বাতিল করা হয়েছে ডাক্তারি ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্ত পরীক্ষা। ফলে তীরে এসে তরী আটকে রয়েছে অনেকেরই। এর মধ্যে উঠে এর নতুন অভিযোগ। অভিযোগ, ২২ জুন প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ১ জুলাই থেকে নার্সিং শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তাদের সেবা করতে হবে করোনা রোগীদেরও। আপত্তি করলে আটকে যাবে তাদের রেজিস্ট্রেশন।
ইতিমধ্যেই ‘অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অরগানাইজেশন’ বা এডিআইএসও-র পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, অনভিজ্ঞ নার্সিং ছাত্রীদের দিয়ে জোর করে করোনা রোগীর সেবা করানো বন্ধ করতে হবে। রাজ্যে উপযুক্ত প্রশিক্ষিত চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব সামাল দিতে অনভিজ্ঞ ছাত্র-ছাত্রীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নেওটিয়ার বিএসসি নার্সিং কলেজের এক ছাত্রী কোভিড সন্দেহে রাজারহাট ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাকে জোর করা হচ্ছে, এমন অডিও ক্লিপ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে। অর্ধপ্রশিক্ষিত নার্সিং ছাত্রীরা নিজে এবং রোগীর পক্ষেও বিপজ্জনক। তা সত্ত্বেও তৃতীয়, চতুর্থ বর্ষের বা ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রছাত্রীদের জোর করে করোনা রোগী সহ অন্যান্য রোগীদের সেবা করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজ কোনওরকম দায়িত্ব নিতে রাজিই নয়। তাদের ওপর মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে অভিভাবকের কাছ থেকে তারা চিঠি লিখে নিয়ে আসি যাতে কোন রকমের ক্ষতি হলে তার দায় সম্পূর্ণভাবে তারা পরিবারেরই থাকবে। এমনকি তাদের সুরক্ষার জন্য পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার সহ সমস্ত কিছুই নিজেদেরকেই কিনতে বলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও কলেজগুলো কোন রকমের সাহায্য করছে না। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের জয়েন করার পরে নার্সিংয়ের অনেক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আর সেক্ষেত্রেও কলেজ কোনও রকমের দায়িত্ব নিচ্ছে না। এই নিয়ে ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অধিকর্তা (ডিএমই) দেবাশীষ ভট্টাচার্য্যকে বারংবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।