
আমাদের ভারত, বারুইপুর, ২৮ মার্চ:
করোনা ভাইরাসের জেরে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। এর জেরেই বারুইপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার পঞ্চাননতলা সংলগ্ন এলাকায় ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ করতে এসে গত ১৫ দিন ধরে আটকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের লালগোলা থেকে আসা ১৩ জন রাজমিস্ত্রি। ঠিকাদার তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন মুর্শিদাবাদে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। টাকা-পয়সা শেষ হয়ে যাওয়ায় কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। এই অবস্থায় তারা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন অবিলম্বে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর। একান্তই তা যদি না হয়, তাহলে তাদের দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছেন তারা প্রশাসনের কাছে।
এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই বারুইপুরের মহকুমাশাসক দেবারতি সরকার যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি পুরসভাকে জানাচ্ছি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে”। বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, “মহকুমাশাসকের অফিস থেকে মিউনিসিপ্যাল ডেভলপমেন্ট অফিসার রাখি পাল বিষয়টি দেখছেন। ভিনরাজ্য বা ভিন জেলায় কতজন এসেছেন বারুইপুরে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে”।
বারুইপুর পুরাতন বাজার এলাকায় দু সপ্তাহ আগে ফ্ল্যাট তৈরির কাজ করতে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার রাধাকৃষ্ণপুরের ১৩ জন রাজমিস্ত্রি। কিন্তু করোনা আতঙ্কের জেরে তারা এখানেই আটকে পড়েছেন। লকডাউনের ফলে বাড়িতেও ফিরতে পারেননি।
রাজমিস্ত্রি পিয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমরা সবাই লালগোলা থানার এলাকার বাসিন্দা। ঠিকাদার সফিকুল রহমান আমাদের বারুইপুরে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজের জন্য নিয়ে আসে। লকডাউনের আগে সে চলে যায় আমাদের ছেড়ে। আমরা ১৩ জন আটকে আছি। খাওয়া-দাওয়া করতে পারছি না। টাকা পয়সা ফুরিয়ে গিয়েছে। আমাদের কেউ দেখছে না”। পুরসভার কোনও লোকজনও তাদের সমস্যা দেখতে আসেননি বলেই দাবি তাদের। প্রশাসনের কাছে তারা আর্জি জানিয়েছেন যে তাদের দ্রুত বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।