আমাদের ভারত, ২৩ মে:
শিক্ষিকাকে ধর্ষণ, বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীকে ধর্ষণ, প্রতিবেশীর লালসার শিকার বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকা, শিশু কন্যাকে ধর্ষণ, এক রাতে তিন নাবালিকার শ্লীলতাহানি, চা বাগানে মহিলাকে ধর্ষণ, নদীয়ায় ফের নাবালিকাকে ধর্ষণ, মালদহে নাবালিকাকে ধর্ষণ, বাগান থেকে শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, বাদুড়িয়ায় নাবালিকা ধর্ষণের শিকার। হ্যাঁ এগুলো রাজ্যের নামিদামি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের শিরোনাম। হ্যাঁ সবকটি ঘটনাই পশ্চিমবঙ্গের। তবে যেটা জানলে আর বেশি যন্ত্রনা বাড়ে, সেটা হলো এই রকম ৫২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই। এই পরিসংখ্যান তুলেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন একমাসে ৫২টি ধর্ষণের ঘটনা কি নেহাত ছোট্ট ঘটনাই বলা হবে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখানে তিনি লিখেছেন, “বিগত শুধুমাত্র এপ্রিল মাসে ৫২টি জঘন্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে। তবে বাদ যায়নি কন্যাশ্রী, সবুজসাথী অথবা লক্ষ্মীর ভান্ডার।” সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যের মা-বোনেদের সম্মান যদি সুরক্ষিত না থাকে তাহলে এসব নিয়ে লাভ কি? তার অভিযোগ, এই ধরণের একাধিক জঘন্য অপরাধে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতাদের। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছেন, “এরা কি বাংলার মেয়ে ছিল না? নাকি এই ৫২টা ঘটনাই ছোট্ট ঘটনা?”
গত মাসে হাঁসখালির ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যবাসীকে। নৃশংসতার চরম উদাহরণ ওই ঘটনা। আর ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতার। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপি সরব হয়েছে শুধুমাত্র হাঁসখালি নয়, উত্তর থেকে দক্ষিণ– সারা বাংলা জুড়ে ঘটে চলা একের পর ধর্ষণের ঘটনায়। বিজেপির অভিযোগ, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যের মহিলাদের সম্মান এমন ভুলুন্ঠিত কেন? এই ধর্ষণের মতো ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রী ছোট্ট ঘটনা বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কারণেই এই ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে বলে বিজেপির দাবি। আর তাতেই ধরা পড়েছে ওই ভয়াবহ পরিসংখ্যান।