ভারতে করোনা সংক্রমণ রয়েছে স্টেজ টু-তে, কি হবে স্টেজ থ্রি হয়ে গেলে?

আমাদের ভারত,১৮ মার্চ:ভারতে করনা সংক্রমণ এখনোও পর্যন্ত স্টেজ-টুতে রয়েছে বলেই জানালেন আই সি এম আর এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভারগাভ।স্টেজ থ্রি এখনোও ভারতে শুরু হয়নি। তিনি বলেন স্টেজ থ্রি মানে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। একইসঙ্গে তিনি আশাবাদী সেই পর্যায় সম্ভবত ভারতে হবে না অর্থাৎ করোনাভাইরাস বেশি লোকের মধ্যে ছড়াবে না। তবে স্টেজ থ্রি তে যে যাবে না তাই একেবারে নিশ্চিত করে বলা যায় না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন করোনাভাইরাস বেশি লোকের মধ্যে ছড়াবে না এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তার কথায়,” আমরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত যত ভালোভাবে বন্ধ রাখতে পারব সংক্রমণ ঠেকাতে ততো সুবিধা হবে। কিন্তু স্টেজ থ্রি বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন যে হবে না একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চারটি পর্যায়ে আছে। প্রথম পর্যায় বিদেশ থেকে আসা লোকজন এই ভাইরাস বহন করে আনে। একমাত্র যারা বিদেশ থেকে আসছে তারাই এই রোগে আক্রান্ত হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে বিদেশ থেকে আসা লোকজনের সংস্পর্শে এসে তার আত্মীয়-স্বজন অপরিচিতরাও এই রোগে আক্রান্ত হন। একে বলে লোকাল ট্রান্সমিশন। আর এতে অল্প সংখ্যক লোক আক্রান্ত হন। আরে লোকাল ট্রান্সমিশনে বোঝা যায় কিভাবে তারা আক্রান্ত হলেন।

কিন্তু তৃতীয় পর্যায় এক বিরাট এলাকাজুড়ে মানুষ এই রোগ আক্রান্ত হয়ে পড়েন।বোঝাই যায়না কোন আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে কিভাবে সংক্রমণ ঘটলো? ইতালি ও স্পেনে এখন স্টেজ থ্রিতেই রয়েছে।

এদিকে ফোর্থ স্টেজ সবচেয়ে বিপদজনক। এই পর্যায়ে দেশজুড়ে করোনা মহামারীর আকারে দেখা যেতে পারে। যেমধ চিনে হয়েছে।

সারা বিশ্ব জুড়ে করোনার আক্রমণে এখনোও পর্যন্ত সাত হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। তবে এর মধ্যে আশার আলো, সোমবার মানবদেহে ওই রোগের প্রতিষেধক পরীক্ষা মূলক ভাবে প্রয়োগ করেছে বিজ্ঞানীরা। তারা অপেক্ষা করছেন ওই ব্যক্তির শরীরে প্রতিষেধকের কি প্রভাব পড়েছে তা দেখার।
জেনিফার হলার নামে বছর তেতাল্লিশের এক ব্যক্তি এই প্রতিষেধক নিয়েছেন। তিনি একটি প্রযুক্তির সংস্থায় ম্যানেজারের কাজ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *