স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২১ এপ্রিল: দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল পাশের গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
জানা গিয়েছে ওই ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণ করে পাশের গ্রামের এক যুবক। এরপর তাকে একটি পুকুরের ধারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রমাণ লোপাটের জন্য পুকুরের জলেই তাকে চুবিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। শুক্রবার সকালে পুকুরের ধারে বিবস্ত্র অবস্থায় ছাত্রীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসী ও মৃতার পরিবারের লোকেরা৷
অভিযুক্ত যুবককে তাদের কাছে হাজির করানোর দাবিতে সাহেবঘাটা এলাকায় রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে মৃতদেহ নিয়ে অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা৷ ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ছাত্রী ও অভিযুক্ত যুবক ভিন্ন সম্প্রদায়ের৷ মৃতার বাড়ি মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবঘাটার গাঙ্গুয়া এলাকায়। নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীর৷
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে এলাকার দোকানপাটও বন্ধ করে দেন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা। আন্দোলনের তীব্রতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। রাস্তার ওপর কাঠ ফেলে আগুনের তীব্রতা বাড়ান ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা৷ পুলিশের সামনেই লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স৷ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ করার পাশাপাশি টিয়ার গ্যাসের সেলও ফাটাতে দেখা যায় পুলিশকে৷ ঘটনায় মহিলা পুরুষ সহ বেশকয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত যুবক কালিয়াগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেছে।
এই ঘটনায় বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের ওপর পুলিশের লাঠি চালানোর তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুক্তদের গ্রেফতারের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।