আমাদের ভারত, ১৪ মার্চ: বাম শাসিত কেরলে চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া কয়েক হাজার শ্রমিক। অনাহারে দিন কাটছে তাদের, কোনও সরকারি সাহায্য মিলছে না বলে জানিয়েছেন।
লকডাউন ঘোষণার পর কেরালায় বহু শ্রমিক আটকে পড়েছেন। এরা মূলত মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং বর্ধমান থেকেও অনেকে গিয়েছেন। প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ সেখানে আটকে রয়েছেন। কোনও সাহায্য না পেয়ে তারা বিভিন্ন জনকে ফোন করে যোগাযোগ করছেন। এরকম ভাবেই তারা বঙ্গীয় সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। বঙ্গীয় সমাজ ইতিমধ্যেই কর্নাটকে হেল্পলাইন চালু করেছে সেখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করেছে। সেই হেল্পলাইনে বঙ্গীয় সমাজের সভাপতি সৌরভ মুখার্জিকে গতকাল কেরলের এরনাকুলাম থেকে এক ব্যক্তি জানান, তারা প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কোনও খাবার পাচ্ছেন না। আজ ফোন করেন কেরলের মন্নপুরম থেকে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওসমান খান। তিনি জানান, সেখানে তারা চার হাজার শ্রমিক রয়েছেন।
ওসমান খান জানান লকডাউন ঘোষণার পর তাদের চারদিন খাবার দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারপরেই বন্ধ করে দিয়েছে। এরপরে কিছু চাল-আটা দিয়েছিল কিন্তু সেটাও আর এখন মিলছে না। তারা অনেক দূরে থানায় গিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন থানা থেকে দুদিন খাবার দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এখন বন্ধ। ফলে প্রায় অনাহারে দিন কাটছে তাদের। এই অবস্থায় তাঁরা বঙ্গীয় সমাজের সভাপতি সৌরভ মুখার্জির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তাদের কিছু সাহায্য করার আবেদন জানান। সৌরভবাবু আমাদের ভারত’কে জানান, ”আমরা কর্নাটকে সাহায্য করছি। আমাদের কেরলে কিছু করার ব্যবস্থা নেই। আমার আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই অসহায় মানুষদের জন্য ভাবুক। তাঁরা কেরল সরকারের সঙ্গে কথা বলুক। কেরলে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিকরা আটকে রয়েছে। তাদের সাহায্য ব্যবস্থা করুক, তা না হলে তারা না খেতে পেয়ে মারা যাবে।