আমাদের ভারত,৩১ ডিসেম্বর:সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে চলছে বিতর্ক। কিন্তু তার মধ্যেই এই আইন বাতিলের প্রস্তাব পাশ হল কেরল বিধানসভায়।
বছরের শেষ দিনে বিধানসভার একদিনের বিশেষ অধিবেশনে রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবে সম্মতি দেয় বিধায়করা।
বিজেপির বিধায়ক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজা গোপাল এদিন বিধানসভায় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
বিজেপির বিধায়কের মতে “এই আইন প্রত্যাহারের দাবি আসলে সংকীর্ণতার লক্ষণ”।
অন্যদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাঠ করার সময় বলেন, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ক্ষুণ্ন করেছে ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব প্রদানের আইনটি। তার কথায় সংবিধানের আদর্শের সঙ্গে এই আইনটি সরাসরি সংঘাত তৈরি হচ্ছে। দেশজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের উচিত ধর্মনিরপেক্ষতার জন্যই এই আইন প্রত্যাহার করা।
বিজয়ন একই সঙ্গে জানিয়ে দেন কেরালায় কোন ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না।
কেরালার দুই সিপিআই বিধায়ক বলেন সিএএ বিরোধিতায় এই প্রস্তাব পাস করে গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা দিল কেরল। কংগ্রেস নেতা ভি ডি সতীশন বলেন সিএএ এবং এনআরসি একই মুদ্রার দুই পিঠ। তার দাবি সংবিধানের ১৩,১৪ ও১৫ নম্বর ধারাকে ক্ষুণ্ন করেছে সিএএ।
এর আগে রবিবার নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার বিষয়ক প্রস্তাব আনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন পিনারাই বিজয়ন। সেখানেই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ দাবি করে একদিনের বিশেষ অধিবেশন করে এই আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস করা হোক। সেইমতো মঙ্গলবার এই অধিবেশনের জন্য দিন ধার্য করা হয়।