স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত , নদীয়া, ২১ জুন
মুদি দোকানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের চাল বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি। বস্তার গায়ে সরকারি লোগো দেখে সন্দেহ হলে ক্লাবের সদস্যরা এই দুর্নীতি ধরে ফেলেন। তারা লরি সহ চালককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনা কৃষ্ণগঞ্জের।
জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যার সময় একটা চালের লরি কৃষ্ণগঞ্জের ব্রহ্মডাঙ্গা যুব গোষ্ঠী ক্লাবের পাশে এক মুদির দোকানে দাঁড়িয়েছিল। সেই লরি থেকে চাল নামিয়ে মুদি দোকানে রাখা হচ্ছিল। দোকানের মালিকের নাম হচ্ছে রমেশ নন্দী। ক্লাবের সদস্যদের সন্দেহ হয় ওই বস্তাগুলোতে এফসিআইএর সরকারি লোগো লাগানো দেখে। তখন লরি চালকের কাছে ক্লাবের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয় সরকারি চাল মুদির দোকানে কি জন্য এসেছে।
অভিযুক্ত বাপ্পা নন্দী জানান, এই চাল সরকার তাঁকে দিয়েছেন বেচার জন্য। অভিযোগ, গত তিন মাস নাকাশিপাড়ার মাচপোতা হাই স্কুলের ইয়ুথ হোস্টেলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সরকারিভাবে কোনও চাল আসেনি। সেই সময় তিনি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে চাল দিয়ে সরকারকে সাহায্য করেছিলেন। এখন সরকার ওই স্কুলকে চাল দিচ্ছে, তাই এই চালটা নিয়ে চলে এসেছেন বেচার জন্য।
অভিযুক্ত চালকের কথায় সন্দেহ হওয়ায় সত্যাসত্য যাচাইয়ের জন্য স্থানীয় ক্লাব থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। কৃষ্ণগঞ্জ থানা লরি সহ অভিযুক্ত চালককে আটক করে।
মুদির দোকানদার রমেশ নন্দী জানান, সরকারি চাল আমার দোকানে নামিয়েছিল অভিযোগ সত্যি। আমি বুঝতে পারিনি এটা সরকারি চাল কিন্তু ক্লাবের ছেলেরা মানা করলে আমি নিইনি। আমাদের গ্রামের ছেলে বাপ্পা নন্দী এই চাল এখানে নিয়ে এসছিল। কিন্তু সরকারি স্ট্যাম্প দেখে আমি নিইনি।
ক্লাবের পক্ষ থেকে অমিত পাল জানান, গরিব মানুষের চাল এভাবে লুট হয়ে যাচ্ছে, বাইরে ব্ল্যাকে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সেটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। যাতে গরিব মানুষ না খেতে পেয়ে মারা না যায়, তারা যেন খেতে পায় সেই ব্যবস্থা করা হোক। আমরা আমাদের ব্রহ্মডাঙ্গা যুব গোষ্ঠী ক্লাবের পক্ষ থেকে এটাই চাই।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।