স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ২২ নভেম্বর:
তৃণমূল নেতৃত্বের কোন্দল নতুন করে সামনে এলো জগদ্ধাত্রী পুজোয়। এর ফলে একই পুজোর দুইবার উদ্বোধন করা হলো। একবার করলেন জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র, পরে আবার একই পুজোর উদ্বোধন করলেন জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু।
কৃষ্ণনগর বৌবাজার বারোয়ারীতে একঘন্টায় দুইবার উদ্বোধন করা হল জগদ্ধাত্রী পুজোর। গতকাল সপ্তমী উপলক্ষ্যে প্রথমে সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও পরে জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু উদ্বোধন করেন মাহেশ্বরী মাতার পুজো। এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায় শহর জুড়ে।
এবার কৃষ্ণনগর শহর জুড়ে বিভিন্ন পুজোর উদ্বোধনে মহুয়া মৈত্রের চাহিদা তুঙ্গে। সে তুলনায় পিছিয়ে রয়েছেন জেলাসভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু। কিন্তু তাই বলে একই পুজোর কিভাবে দুই বার উদ্বোধন হল? –সেটাই আশ্চর্যের। কৃষ্ণনগর শহরের অন্য এক পুজো উদ্যোক্তা তথা তৃণমূল নেতা অঞ্জন সাহার কথায়, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়, সাংসদকে অপমান করা হয়েছে। অন্যদিকে ষষ্ঠীতলার পুজো উদ্যোক্তা তথা তৃণমূল শুভজিৎ সাধুখা আবার জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্রের ওপরই সব দায় চাপিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা দলের ক্ষতি করার একটা চেষ্টা। এব্যাপারে সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এই ঘটনা ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘটিয়েছেন। দলের বদনাম করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। উনি গোটা পুজো উৎসবে কোথাও ডাক পাননি, তাই ইচ্ছাকৃতভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই নাটক করেছেন।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে টাকার বিনিময়ে দলের পদ বিক্রির অভিযোগে পোষ্টার পড়ে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে। তারপর যুব সভাপতির ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগও ওঠে। এবার নয়া সংযোজন একই বারোয়ারী পুজোর দুইবার উদ্বোধন।