প্রতীতি ঘোষ, ব্যারাকপুর, ১৪ অক্টোবর: বারানগর নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ডের এবারের থিম চালচিত্র। পটচিত্রের মাধ্যমে এখানে দেবী দুর্গার পরিবারকে একসাথে দেখানো হয়েছে। গ্রাম বাংলার বহু প্রাচীন শিল্পকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে খোলা মেলা মণ্ডপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে আর সেটা মাথায় রেখে মণ্ডপ টিকে পটের আকারে গড়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মণ্ডপের দুই ধারে রাখা হয়েছে বিশাল আকারের মঙ্গল ঘট। বিভিন্ন ধরনের পশু, পাখি ও পৌরাণিক কাহিনীকে পটচিত্র হিসাবে মণ্ডপ সজ্জায় তুলে ধরা হয়েছে। সে সঙ্গে এদের দুর্গা প্রতিমাতেও আছে সবেকিয়ানার ছোঁয়া। এখানে ডাকের সাজের দুর্গাই মণ্ডপের শোভা বাড়িয়েছে।
সোদপুর বিজয়পুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর এবারের থিম মুছে দেওয়া মা একটু বাঁচার আশা। গামছা শিল্প যে ক্রমে তার জৌলুস হারিয়ে ইতিহাসে চলে যাচ্ছে সেটা বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে এই পুজোর থিমের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রদেশের গামছা দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। গামছা শিল্পের সাথে যুক্ত মানুষদের জন্য কিছু করার তাগিদে এই মণ্ডপটিতে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, কৃষ্ণ নগরের মত ওড়িশা ও অসমের গামছা ব্যবহার করা হয়েছে। করোনা আতিমারির কথা মাথায় রেখে সমস্ত বিধি নিষেধ মানা হচ্ছে এই মন্ডপে।
ব্যারাকপুর মহকুমার আর একটি বিগ বাজেটের পুজো সোদপুর উদয়ন সংঘের পুজো। এই বছর করোনার কারণে তাদের সুবর্ণ জয়ন্তী বছর হওয়া সত্বেও পুজোর বাজেট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই অর্থ তারা অন্যান্য সামাজিক কাজে ও সেফ হোম গড়ার কাজে ব্যবহার করেছেন। সাবেকিয়ানা ফুটিয়ে তোলা এবছর এই পুজোর থিম। তাই এদের মণ্ডপ ও দেবী দুর্গার মূর্তিটিতেও রয়েছে সাবেকিয়না ছোঁয়া। মন্ডপে প্রবেশ করলেই এক অদ্ভুত শান্তি অনুভূত হচ্ছে দর্শকদের। তবে ব্যারাকপুর মহকুমার সমস্ত বিগ বাজেটের পুজোগুলি তাদের বাজেটে কাটছাট করলেও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত বিধি নিষেধ মানছেন।