আমাদের ভারত, ২৩ মে: জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখনই কুতুবমিনার অঞ্চলে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার তথ্যমন্ত্রকের সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ জনের একটি দল নিয়ে কুতুব মিনার চত্বরে পরিদর্শনে যান। এলাকা পরিদর্শন করার পরই এএসআইকে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেন তথ্য সচিব। এছাড়া ওই চত্বরে যে সমস্ত মূর্তি পাওয়া গেছে তার আইকনোগ্রাফি করার কথাও উঠেছে।
এদিনের পরিদর্শকদের দলে ছিলেন তিনজন ইতিহাসবিদ, চারজন এএসআই আধিকারিক। এছাড়াও ছিলেন কয়েকজন গবেষক। জানা গেছে, আপাতত কুতুব মিনারের দক্ষিণ দিক থেকে খনন করার কাজ শুরু করা হবে। খনন কাজ চালাতে হবে মিনারের থেকে ১৫ মিটার দূরে। তবে কত দিনের মধ্যে এই কাজের রিপোর্ট পেশ করতে হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
১৯৯১ সালের পরে কুতুব মিনার চত্বরে কোনো খনন কাজ চালানো হয়নি।সাম্প্রতিক অতীতে এএসআই এর প্রাক্তন আধিকারিক ধরম বীর শর্মা বলেছিলেন, কুতুব মিনার তৈরি হয়েছিল রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে। তিনি সূর্যের আলো দেখে দিক নির্ধারণ করার জন্য বানিয়েছিলেন এই মিনার। এছাড়া ওই চত্বর থেকে কৃষ্ণ, গণেশ সহ বেশকিছু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি জানিয়েছিল, কুতুবমিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করতে হবে। তারা আরও দাবি করেছিল, সাতাশটি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে কুতুব মিনার তৈরি করা হয়েছিল। এরপরই এএসআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাটি খুঁড়ে অনুসন্ধান চালানোর।
কুতুবমিনার ছাড়াও আরও দুটি জায়গা খননকার্য চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো মেহরৌলির লালকোট কেল্লা এবং আনঙ্গতাল।
ভিডিও গ্রাফিক সমীক্ষায় জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। সেই এলাকার সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেই বিতর্কের আবহে জ্ঞানবাপীর মতোই বিস্তারিতভাবে কুতুবমিনারেও অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।