সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৮ জুন: পালিশ করার নাম করে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার গয়না হাতিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। আজ ভর দুপুরে পুরুলিয়া শহরের ডাক্তার ডাঙ্গা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া শহরে।
ওই এলাকার প্রতিষ্ঠিত হালিম দাদ খানের বাড়িতে মহিলারা একা ছিলেন দুপুরে। ওই পরিবারের গৃহকর্ত্রী ফরিদা খানকে দুই দুষ্কৃতী এসে সোনার গয়না দ্রুত পালিশ করার প্রলোভন দেখায়। তাদের কথায় বিশ্বাস করে আঙ্গুলের সোনার আংটি খুলে দেন ফরিদা খান। দ্রুত সেটি পালিশ করে ফেরত দেয় দুষ্কৃতীরা। এতেই মহিলার মন জয় করে নেয় তারা। তার পর গলার সোনার চেন, কানের সহ বাড়িতে থাকা অন্যান্য গয়না এনে দিয়েছিলেন পালিশ করার জন্য। তার পরই কৌশলে গয়না নিয়ে মোটর সাইকেলে চেপে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
ওই সময় বাড়িতে থাকা ওই মহিলার ছেলে আদনান দাদ খান জানায়, “প্রথমে গয়না পালিশ করা দেখে বাড়ির ভেতরে চলে যাই আমি। মাকে জিজ্ঞেস করে আর কিছু জানতে চাইনি। পরে জানতে পারলাম মায়ের দৃষ্টি ঘুরিয়ে কৌশলে গয়নাগুলো নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।”
ঘটনার পরই জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকজন। ওই এলাকার একটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে মোটর সাইকেলে থাকা দুই দুষ্কৃতীর ছবি। যদিও তারা সংখ্যায় দুইজনের বেশি ছিল বলে ধারণা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। পরে সন্দেহভাজন একজনকে ডিগুডি পাড়া এলাকা থেকে ধরে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সদর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।