তাহলে যুদ্ধ কি লাগছে? কাশ্মীরে লাদাখ সংলগ্ন স্কুল খালি করা ও ২ মাসের রান্নার গ্যাস মজুতের নির্দেশ

আমাদের ভারত, ২৮ জুন: লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর সরকারের তরফে জারি করা আলাদা আলাদা দুটি নির্দেশিকা ঘিরে আশঙ্কা দানা বাঁধছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। তবে কি সত্যি যুদ্ধ লাগতে চলেছে? বড় কিছু হবার আশঙ্কা করেছেন কাশ্মীরের মানুষ।

জম্মু-কাশ্মীরের গভর্নরের তরফে হঠাৎ একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে আগামী দুমাসের জন্য কাশ্মীরের গন্দারওয়াল জেলার সব স্কুল গুলিকে খালি করে দিতে হবে। সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী জওয়ানদের থাকার জন্য এই স্কুলগুলি খালি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও দ্বিতীয় নির্দেশিকায় গভর্নর বলেছেন, আগামী দুমাসের জন্য রাজ্যে এলপিজি গ্যাস মজুত করে রাখতে হবে। একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সংবাদপত্রে প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল হাইওয়ে বন্ধ হওয়ার কারণে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। আর সেই জন্য এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করে রাখা দরকার।

গত ২৩ জুনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গর্ভনর। এরপর প্রশাসনিক কর্তারা সে নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই।

কাশ্মীরের যে গন্দারওয়াল জেলার স্কুলগুলো খালি করতে বলা হয়েছে, এই জেলাটি লাদাখের কারগিলের একেবারে সন্নিকটস্থ একটি জেলা। আর সেই কারণেই কিছু বড়সড় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গভর্নর ছাড়াও পুলিশ আধিকারিকও ওই জেলায় ১৬টি স্কুল সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খালি করে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

এদিকে আবার পাকিস্তানের ভিসা থাকা ২৫০ জন কাশ্মীরী যুবক হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে বলে খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। অন্যদিকে, অধিকৃত কাশ্মীর থেকে দেশে অনুপ্রবেশের জন্য ৪০০ জঙ্গি অপেক্ষায় রয়েছে বলেও খবর। এই সমস্ত বিষয়কে এক জায়গায় করেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন হাওয়া ভালো নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *