আমাদের ভারত, ৬ আগস্ট: ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয়ে চিনের নাক গলানোর প্রচেষ্টাকে আবার একবার আন্তর্জাতিক স্তরে ধোপে টিকতে দিল না ভারত।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার চেষ্টা করেছিল চিন কিন্তু সেই চেষ্টাকে জোড়াল আপত্তি জানিয়ে একরকম উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। চিনের এই পদক্ষেপকে অযৌক্তিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে ভারত। একইসঙ্গে ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর কথা শুনিয়ে দিয়েছে দেশের বিদেশমন্ত্রক।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে এটি প্রথমবার নয়, চিন এর আগেও ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবো চেষ্টা করেছে। কিন্তু অন্যবারের মতো এবারও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের দিকেই সমর্থনের পাল্লা ছিল ভারী। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “আমরা আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে চিনের হস্তক্ষেপ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এই ধরনের অযৌক্তিক প্রচেষ্টাকে যথাযথ ভাবে এখানেই শেষ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
গত বছর ৫ আগস্ট তারিখে ভারত সরকার ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে। এরপর ভারত-চিন লাদাখ সীমান্তে বিবাদ শুরু হয়। সেই বিবাদের রেশ এখনো কাটেনি, তার মধ্যেই চিনকে আবার কাশ্মীর বিবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চাইছিলো। এর আগেও চিনের তোলা এই বিষয়টিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্যান্য সদস্যরা প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারেও তাই করেছে।
অন্যদিকে আবার নেপালের মতই পাকিস্তান, জম্মু-কাশ্মীর লাদাখ, ও গুজরাটের একাংশকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করেছে। যদিও তার কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। ভারতের তরফে এই বিষয়টিকে হাস্যকর বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের ধারণা পাকিস্তানের এই স্পর্ধার পেছনে আসলে রয়েছে চিনের হাত রয়েছে। ইমরানকে গুটি করে তারাই এই চাল চালছে।