সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২ ফেব্রুয়ারি: পেট্রাপোল বেনাপোল সীমান্তে উঠে গেল শ্রমিকদের কর্মবিরতি। কুলিদের লাগেজ বহন করতে দিতে হবে, ট্রাকচালক ও খালাসিরা পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোলে যাওয়ার পর তাদের একইদিনে ফেরার অনুমতি দিতে হবে। এমনই একাধিক দাবিতে গত রবিবার অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল শ্রমিকরা। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যের পর সেই আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তাঁরা। ফলে ফের মঙ্গলবার থেকে পেট্রাপোল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শুরু হয়েছে বাণিজ্য।
দুই দেশের বন্দরে শয়ে শয়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে ছিল। দুদিন বন্ধ থাকার পর ফের আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় কিছুটা যানজটের সমস্যা হয়। ব্যবসায়ীদের মতে, রোজ বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে গড়ে প্রায় পাঁচশো ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। পণ্যসামগ্রী নিয়ে ওপার থেকে এদেশে ঢোকে প্রায় দেড়শোটি ট্রাক। বাণিজ্যিক কাজকর্ম দেখভাল করতে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা পেট্রাপোল বেনাপোল বন্দরে আসা যাওয়া করতেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে বিএসএফ নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাঁদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াও বিএসএফের ট্রাক তল্লাশিতে প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। এইসব সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় “বন্দর জীবন জীবিকা বাঁচাও” সংগঠনের ডাকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। যার ফলে বন্দরে দুই দিন ধরে আমদানি-রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যায় পড়তে হয় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনায় রফাসূত্র মেলায় কর্মবিরতি তুলে নিয়েছেন শ্রমিকরা। ছন্দে ফিরেছে পেট্রাপোল।