স্থিতিশীল গ্রামীণ উন্নয়ন ও সুস্থ জীবন গড়ে তোলার জন্য জৈব চাষ আবাদের গতিশীলতা শীর্ষক আন্তর্জাতিক ই- কনফারেন্স

জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৭ সেপ্টেম্বর: সোমবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে ‘স্থিতিশীল গ্রামীন উন্নয়ন ও সুস্থ জীবন গড়ে তোলার জন্য জৈব চাষাবাদের গতিশীলতা’ এই শীর্ষক আন্তর্জাতিক ই- কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হল ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিধু কানু সভা গৃহে। আয়োজক ছিল ঝাড়গ্রাম জেলার কাপগাড়ি সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ ও আইকিউএসি। সৌজন্যে ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো গুয়াংজু চোনাম অ্যাসোসিয়েশন, কোরিয়া এবং সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিল ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউট অফ আর্থ অ্যান্ড এনভারমেন্টাল রিসার্চ নামক গবেষণা সংস্থা।

প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক প্রণব সাহু। উদ্বোধক ছিলেন সাধু রাম চাঁদ মুর্মু, ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অমিয় কুমার পান্ডা এবং উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাতো, স্বামী বেদাপুরুষানন্দ মহারাজ, কৃষি অধিকর্তা অনুপম পাল, জৈব কৃষি বিজ্ঞানী অধ্যাপক কাঞ্চন ভৌমিক এবং সভাপতিত্ব করেন সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয় অধ্যক্ষ অধ্যাপক দেব প্রসাদ সাহু। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো গুয়াংজু অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এবং প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুকুল বাসু। ছিলেন নেপালের প্রাক্তন অধিকর্তা রাজেন্দ্র উপ্রীতি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রের অধিকর্তা অধ্যাপক লক্ষ্মীরতন সৎপতি এবং ভারত সরকারের প্রাক্তন কৃষি অধিকর্তা অধ্যাপক পরিতোষ ভট্টাচার্য এবং খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তন কৃষি বিজ্ঞানী বিজয় চন্দ্র ঘোষ। আন্তর্জাতিক সমাবেশের আয়োজক সম্পাদক তথা ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং পরিবেশ গবেষণা সংস্থার সম্পাদক অধ্যাপক প্রণব সাহু। তিনি বলেন, ঝাড়গ্রাম জেলার টেকসই গ্রামীণ উন্নয়ন ও অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান এবং সুস্থ জীবন গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে রূপরেখা তৈরি করতে এই ধরনের আন্তর্জাতিক সমাবেশের আয়োজন। অতিমারি সঙ্কট কালে জামবনীর জামডহরি গ্রামটি দত্তক নিয়ে জৈব কৃষি খামার ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থিতিশীল ও স্বনির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কর্মপদ্ধতি আন্তর্জাতিক সমাবেশে তুলে ধরা হয়েছে।আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো গুয়াংজু  চোনাম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক  মুকুল বাসু ঝাড়গ্রামের প্রান্তিক মানুষের তথা গ্রামীণ উন্নয়নে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞানী গবেষক এবং প্রশাসন একসাথে মিলেমিশে আগামী দিনে ঝাড়গ্রাম জেলার সামগ্রিক বিকাশ করা সম্ভব হয়ে উঠবে। স্বামী বেদপুরুষানন্দ মহারাজ স্বামীজীর গ্রামীন পরিকল্পনার মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়ে উঠবে। কৃষি অধিকর্তা এবং জৈব কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, সুস্থ জীবন গড়ে তুলতে গেলে জৈব খামার ব্যবস্থার মধ্যে আমাদের নিযুক্ত হতে হবে। এই আন্তর্জাতিক ই- সমাবেশে ভারত সহ ছটি দেশ থেকে প্রায় তিন’শ অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, গবেষক, আধিকারিক ও ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *