পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৭ জানুয়ারি: প্রশাসক পরিচালিত পুরবোর্ডের অনিয়মিত বেতনের জেরে ক্ষুব্ধ এসএসকে’র শিক্ষিকারা। আন্দোলনে তৃণমূলের শিশুশিক্ষা সংগঠনের কর্মীরা। সোমবার সকাল থেকে কার্যত কোভিড বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বালুরঘাট পৌরসভার সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল শিশু শিক্ষা সংগঠনের মহিলারা। যাকে ঘিরে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দু’ তিনমাস পরেও মিলছে না তাদের বেতন। যার প্রতিবাদে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে। এখানেই শেষ নয়, মহিলাদের আরো অভিযোগ, তৃণমূল বোর্ডের আমলে এসব স্বাভাবিক থাকলেও প্রশাসক পরিচালিত বোর্ডের হাত ধরেই শুরু হয়েছে বেতন নিয়ে এই অস্থিরতা। আর যাকে ঘিরে পুরভোটের আগে বালুরঘাট শহরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
জানাযায়, বালুরঘাট পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডে শিশুদের শিক্ষার জন্য ১১০টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। যেগুলোর দেখভাল, পড়াশোনা ও মিড ডে মিলের জন্য প্রায় ৩০০ জন শিক্ষিকা রয়েছেন গোটা শহরে। করোনার লকডাউনের জেরে পঠন পাঠন বন্ধ থাকলেও শহরের প্রায় সমস্ত শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে চালু রয়েছে মিড ডে মিল। যে কাজে নিযুক্ত পুরসভার অধীনস্থ শিক্ষিকারা প্রায় দু’ থেকে তিনমাস ধরে পাননি বেতন। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে এই অনিয়ম চলায় এদিন পুরসভার বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নামে শহরের তৃণমূল শিশু শিক্ষা সংগঠন। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত স্তরে শিক্ষিকাদের নিয়মিত বেতন হলেও শুধুমাত্র পুরসভা এলাকাতেই তাদের অনিয়মিত বেতন রয়েছে। যার বিরুদ্ধেই তাদের এই আন্দোলন।
সংগঠনের তরফে অর্পিতা মুখার্জি বোস বলেন, কোভিডকালে তাদের এই অনিয়মিত বেতনের জেরে সংসার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের আমলে কখনো এমন সমস্যা না হলেও সমস্যা তৈরি হয়েছে প্রশাসক পরিচালিত বোর্ডে। বেতনের সমস্যার সমাধান না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন নামবেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির টাউন মন্ডল সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, বকলমে তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডই বেতন দিতে পারছে না অসহায় কর্মীদের। আর যার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ক্ষেপে উঠেছে তৃণমূলের সংগঠন। তারা ওই মহিলাদের এমন আন্দোলনকে সমর্থন করেন। আগামী পুরভোটে এই মহিলারাই বিজেপির হাতকে শক্ত করবে।
আরএসপির তরফে প্রলয় ঘোষ বলেন, আগেও তৃণমূল বোর্ড ছিল আর এখনও তৃণমূলই চালাচ্ছে ওই পুরসভা। পুরভোটের আগে এসব লোক দেখানো চলছে। তারাই যে বেতন দিচ্ছে পুরভোটের আগে তা মনে করিয়ে দিতেই এসব করছে।