
আমাদের ভারত, ২৬ মে: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন রাষ্ট্রপতির হাতে নয় কেন? এই প্রশ্ন নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয়েছিল মামলা। বক্তব্য ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুই যাতে এই নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন। কিন্তু শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট বক্তব্য, এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।
নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের বিতর্কে ইতি টেনে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী ও পিএ নরসিমা আবেদনকারী আইনজীবী জয়া সুখিনকে বলেন, কেন এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট সেটা বুঝতেই পারছে না। সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ মেনে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে না।
মামলাকারী আইনজীবী জয়া সুখিনের অভিযোগ ছিল, গত ১৮ মে লোকসভা সচিবালয় তরফে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর দ্বারা নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের যে ঘোষণা করা হয়েছিল তা সংবিধান বিরুদ্ধ। তার বক্তব্য ছিল, দেশের প্রথম নাগরিক রাষ্ট্রপতি সংসদের প্রধান। তাই তার হাতেই নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন হওয়া উচিত। কিন্তু তাঁকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে ভারতের সংবিধানের অবমাননা করা হয়েছে।
আগামী ২৮ মে রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের সংসদ দেশের রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভা এবং লোকসভা নিয়ে গঠিত। সংবিধানের ৭৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রতি সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে দুই কক্ষে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে তাকে অবমাননা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে এই ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ ১৯টি বিরোধী দল অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। সকলের অভিযোগ কেন প্রধানমন্ত্রী নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করছেন? একজোট হয়ে মোদীকে আক্রমণ করেন মমতা, অরবিন্দ, মল্লিকার্জুন খারগেরা।
কিন্তু বিরোধীদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীও। ত্রিদেশীয় সফর শেষে দিল্লিতে পা রেখেই তাঁর বক্তব্য ছিল, “অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রবাসী ভারতীয়দের জমকালো অনুষ্ঠানে প্রায় কুড়ি হাজারের বেশি জমায়েত হয়েছিল। আর সেই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টেনিও আলবানিজ যে উপস্থিত ছিলেন সেটা না, সেখানকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সহ সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরাই জাতির ঐক্যের জন্য উপস্থিত ছিলেন। মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য আসলে বিরোধীদের পাল্টা জবাব দেওয়া।