জিটিএ এবং মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে কংগ্রেস–সিপিএম কি জোটের পথে?

আমাদের ভারত, ১৪ মে: জিটিএ নির্বাচনের পাশাপাশি জুনেই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন করতে চায় রাজ্য সরকার। এমনটাই তাদের চিন্তাভাবনা। আর এই ঘোষণা হতেই ফের নড়েচড়ে বসল বাম-কংগ্রেস। পুরনিগম নির্বাচনে নিজেদের অহং বজায় রাখতেই জোট হয়নি। কিন্তু মহকুমা পরিষদে ফের জোট নিয়ে আলোচনা চায় দুই দল।

পুরনিগম নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়ে ফের জোটের ভাবনায় ফিরেছে বাম-কংগ্রেস। তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতার নিজেদের মধ্যে এনিয়ে আলোচনাও সেরে ফেলেছেন। দুই দলের নিচুতলার নেতারা অবশ্য জোটের পক্ষেই। তবুও যদি জোট না হয় তাহলেও দুই দল নির্বাচনে লড়াই করতে নামবে। শিলিগুড়ি পুরনিগমে বিগত দুই মাসে কী কাজ হল, সেটার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেই নিজেদের প্রাসঙ্গিক করতে চায় কংগ্রেস ও সিপিএম।

কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শংকর মালাকার বলেন, “জোট না হলে পুরনিগমের মতই ফলাফল হবে।” বামেদের তাপস সরকার বলেন, “দরজা খোলা রয়েছে, জোট নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।”

সিপিএম নেতা তথা মহকুমা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি তাপস সরকার বলেন, “আমরা পুরোপুরি তৈরি। প্রার্থী নির্বাচনও প্রায় শেষ। তবে জোটের ক্ষেত্রে আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে আমার দল। কংগ্রেস চাইলে জোট বেঁধে লড়াই হতে পারে।”

অন্যদিকে কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “পঞ্চায়েতে আমরা না চাইলেও নিচু তলায় জোট হয়ে যায়। তবে আমরা চাই জোট হোক। সিপিএম জোট করতে না চাইলে পুরনিগমের মত অবস্থা হবে। এখনও নির্বাচন ঘোষণা হয়নি। তাই দ্রুত এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।”

তবে তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। প্রায় ২বছরের বেশি হয়ে গেল, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন হয়নি। তাই সবকিছু ঠিক থাকলে জুনেই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন হতে চলেছে। আর নির্বাচনের জন্য পুরোদস্তুর তৈরি বলে জানিয়ে দিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল (‌সমতল)‌ সভানেত্রি পাপিয়া ঘোষ। তিনি বলেন, “আগামী সপ্তাহের মধ্যেই জেলার শীর্ষ নেতা গৌতম দেব, রঞ্জন সরকার, অলোক চক্রবর্তী সহ রাজ্য কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কোমর বেঁধে নামার কর্মসূচি ঠিক করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *