নোবেল করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলেছে ইসরাইলের বিজ্ঞানীরা

আমাদের ভারত,১৩ মার্চ:নোবেল করোনা বা কবিড-১৯-কে ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী অতি মহামারি আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। তবে এই মারণ রোগের সম্ভাব্য প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছেন ইজরায়েলের বিজ্ঞানীরা। একটি জাতীয় স্তরে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী খুব শীঘ্রই ইসরাইলের বিজ্ঞানীরা এই ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইজরায়েল ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল গবেষণাগার ইতিমধ্যেই সার্স কোভ-২ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরীর কাজ সেরে ফেলেছে। তার আগেই এই নতুন ভাইরাসের জৈবিক প্রক্রিয়া ও তার গুণাবলী বোঝার পরই এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। এখনো পর্যন্ত নোবেল করোনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪৬০০ জনের। ভাইরাসছ আক্রান্ত হয়েছে ১১৩ টি দেশের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রোগের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক বা বাঁচার কোনো উপায় বের করা সম্ভব হয়নি।

তবে ইজরায়েলের বিজ্ঞানীদের এই নতুন অগ্রগতি অবশ্যই মানুষের মনে বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত রোগীর মনে আশার আলো জোগাবে। সারা বিশ্বের একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা এই রোগ নিরাময়েরওষুধ বা প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। তবে এই ওষুধ বা প্রতিষেধক ব্যবহারের উপযোগী কিনা তা জানার জন্য একটি দীর্ঘ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা ও গবেষণা প্রয়োজন। পশুদের ওপর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা হবে।যার জন্য বেশ কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা পৌঁছেছে ইজরাইলের। মধ্য ইসরাইলের-নেস টিজিওনা শহরে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল রিসার্চে ভাইরাস গুলির নমুনা পৌঁছানোর পরে গবেষণার কাজ শুরু করে দেয় বিজ্ঞানীরা। ৫০ জন অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী প্রতিষেধক তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতাইয়ুহুর নির্দেশে এই গবেষণার কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে মার্কিন বায়োটেক ফার্ম মর্ডানা ঘোষণা করেছিল তারা করোনাভাইরাস এর সম্ভাব্য প্রতিষেধক বিকাশ করেছে। ওই ফার্ম দাবি করেছিল তারা কবিড-১৯-র প্রথম ব্যাচের প্রতিষেধক যার নাম এম আর এন এ 1273 কে পাঠানো হয়েছে জাতীয় এলার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউট এর কাছে। যার প্রথম পরীক্ষা শুরু হবে এপ্রিলে। ২৫ জন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির ওপর এটি প্রয়োগ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *