আমাদের ভারত, ৬ জানুয়ারি: মঙ্গলবার ফেসবুকে এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর বাঙালি বিজ্ঞানী তপন মিশ্র। তার অভিযোগ বছর তিনেক আগে তার খাবারে বিষ মিশিয়ে তাকে মারার চেষ্টা হয়েছিল। বেঙ্গালুরুরতে ইসরোর হেডকোয়ার্টারে একটি প্রমোশনাল ইভেন্ট চলাকালীন তার খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
ফেসবুকে “লং কেপট সিক্রেট” অর্থাৎ বহু দিন ধরে লুকিয়ে রাখা গোপন কথা নামে শিরনাম যুক্ত পোস্টে বিজ্ঞানী লিখেছেন, ২০১৭ সালের ২৩ মে ব্যাঙ্গালুরুতে ইসরো একটি ইভেন্ট চলাকালীন লাঞ্চের পর স্ন্যাক্সে তিনি ধোসা ও চাটনি খান। সেই ধোসা ও চাটনির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল আর্সেনিক ট্রাই অক্সাইড।এটি সাংঘাতিক বিষ। কিন্তু এটি পরিমাণে কম দেওয়া হয়েছিল তাকে। সেই কারণে সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরে কোন প্রভাব দেখা যায়নি।
কিন্তু কিছু দিন পর থেকে তার বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, তকে র্যাস বেরোনো, জ্বালাপোড়া, ফাংগাল ডিসিস প্রভৃতি। বিজ্ঞানী আরও দাবি করেছেন ২০১৭ জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক তার সঙ্গে দেখা করে তাকে জানান তার শরীরে কোন ভাবে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। তারপরই তিনি চিকিৎসকদের বলেন এবং সেই মত তাকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলা হয়।
তপন মিশ্র এই মুহূর্তে ইসরোর সিনিয়র এ্যাডভাইজারের পদে রয়েছেন। ইসরোর আমেদাবাদ রিসার্চ সেন্টারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। চলতি মাসের শেষে স্বেচ্ছা অবসর নেওয়ার কথা তার। অবসরের আগে এই ধরনের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে এইমসের একটি মেডিকেল রিপোর্ট ও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে এইমসে আর্সেনিক টক্সিকেশানের চিকিৎসা হয়েছে তার। তপন মিশ্রের অভিযোগ গুপ্তচর সম্ভবত তাকে খুন করতে চেয়ে ছিলেন। কারণ তিনি দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যা দেশের সুরক্ষার বড় ভূমিকা নিয়েছিল। তাই তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই সম্ভবত এই হামলা চালিয়ে ছিলেন তারা। বিজ্ঞানী বলেছেন তিনি চান ভারত সরকার এই ঘটনার তদন্ত করুন। না হলে আবারও কোন বিজ্ঞানীকে এই সমস্যায় পড়তে হতে পারে। যদিও ইসরোর তরফে এই অভিযোগ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা হয়নি।