
আমাদের ভারত,২৮ সেপ্টেম্বর:যে বা যাদের করোনার ভ্যাকসিন কেনার ক্ষমতা নেই তাদের কেন্দ্র সরকার বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন দেবে। এক উচ্চপদস্থ সরকারী আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এই কথা লেখা হয়েছে দ্য হিন্দু পত্রিকায়। অর্থাৎ এককথায় দরিদ্রদের বিনামূল্যে করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।
জানা গেছে এক একটি ভ্যাক্সিনের দাম পড়বে ২-৩ ডলার অর্থাৎ ১৪০-২১০ টাকার মধ্যে। ফলে এই টাকা দিয়ে যারা ভ্যাক্সিন কিনতে সক্ষম নয়। তাদের সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।
সরকারি সূত্রের খবর ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশে ভ্যাক্সিন প্রয়োগের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই খরচ করে এই ভ্যাক্সিন নিয়ে উঠতে পারবেন না। তাদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া দেবে সরকার।
ভারতের জাতীয় ইমিউনাইজেসন প্রকল্পে বারোটি ভ্যাকসিন দ্বারা প্রতিরোধে সক্ষম রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। মূলত শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। কিছু জাতীয় স্তরে কিছু রাজ্য স্তরে। যেমন বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয় সরকারি উদ্যোগে।
জানা গিয়েছে করোনার ভ্যাক্সিন ইতিমধ্যে বহু স্বেচ্ছাসেবকের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। নিরাপত্তা সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখে বাজারে আনা হবে। অশোকা ইউনিভার্সিটির ত্রিবেদী স্কুল ফর বায়োসাইন্সের ভাইরোলজিস্ট সাহেব জামিল জানিয়েছেন, গর্ভবতী মহিলাদের ওপরেও ভ্যাক্সিনের প্রয়োগ চলছে। আর সেটা সফল হলে তা শিশুদের জন্য ব্যবহারযোগ্য কিনা তা জানা যাবে।
এর আগে শনিবার টুইটারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরাসরি প্রশ্ন করেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা। তার প্রশ্ন ছিল প্রত্যেক ভারতীয়কে করোনার ভ্যাক্সিন দিতে গেলে খরচ হবে ৮০ হাজার কোটি টাকা। সেই অর্থ কি কেন্দ্র সরকারের আছে? পরের বছরই করোনা ভ্যাক্সিনের জন্য এই টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সেরাম কর্তা। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন সরবরাহ ও উৎপাদনের জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন তাকে কেন্দ্র সরকার দিতে পারবে? প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌঁছতা গেলে যে অর্থ ও লোকবলের প্রয়োজন তার জন্য পরিকল্পনা দরকার। আর সেই কাজ শুরু করতে হবে কেন্দ্রকেই। এটাই করোনা মোকাবিলায় এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।