আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৮ ডিসেম্বর: বড় বটগাছ থেকে ‘ছয়টা’পাতা ঝড়ে গেলে দলের কিছু যায় আসে না, এক মাসের মধ্যেই নতুন পাতা গজাবে, হাবড়ায় বললেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শীলভদ্র দত্তের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে এই কথা বলেন তিনি। বাবু মাস্টারের কর্মাধ্যক্ষের পদে ইস্তফা দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, কৃপা করে দলে নিয়েছিলাম তাকে। তবে, বাবু মাষ্টারে বিরুদ্ধে যেসমস্ত কেস রয়েছে সেই বিষয়ে আইন আইনের পথে চলবে।
আজ বঙ্গধ্বনি যাত্রায় হাবড়ার বিভিন্ন অলিগলিতে হুডখোলা গাড়ি করে কয়েকশো দলীয় কর্মীদের নিয়ে র্যালি করেন হাবড়ার বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানে শিলভদ্র দত্ত–র দল ছাড়ার বিষয়ে বললেন, কেউ যদি মনে করেন দশ বছর দলে থেকে সমস্ত কিছু ভোগ করবার পর দল ত্যাগ করবেন সেখানে দলের পক্ষে তাকে বোঝানো ছাড়া আর কিছু করার নেই। তবে উনি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে, এর পর অন্য কোনও দলে যেতেই পারেন, তবে ফের তৃণমূলের আসতে গেলে তার জন্য দরজা পুরোপুরি ভাবে বন্ধ কিনা সেটাই উনি দেখতে পাবেন।
আজই তৃণমূল ছেড়েছেন শীলভদ্র দত্ত। একই দিনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেন বসিরহাটের দাপুটে তৃণমূল নেতা ফিরোজ কামাল ওরফে বাবু মাস্টার। শুক্রবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদে এসে তিনি জেলা পরিষদের শিক্ষা, ক্রীড়া ও তথ্য সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন। এই প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, দয়া করে, কৃপা করে দলে নিয়েছিলাম। তবে বাবু মাষ্টারে বিরুদ্ধে যেসমস্ত কেস রয়েছে সেই বিষয়ে আইন আইনের পথে চলবে বলে দাবি খাদ্যমন্ত্রীর।
গাইঘাটায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে বলেন, সবে শুরু এর পর টিকিট নিয়ে মারামারি করবে। শান্তনুকে দলে আমন্ত্রণ নিয়ে বলেন, যদি কোনও স্বচ্ছ মানুষ তৃণমূলে আসতে চায় তাকে স্বাগত। পাশাপাশি খাদ্যমন্ত্রী দাবি করেন, একুশে নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গড়বে আর তার পর দলছুট যারা আছেন টোকেন হাতে রাতের পর রাত লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবেন, কিন্তু তৃণমূলের দরজা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
পাতা গজালে কী হবে দাদা জল দেবার কেউ থাকবেনা।ওই গাছ একা শূকিয়ে মা্রা যাবে আর জ্বালানি হয়ে যাবে।