আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৫ জুন: জলপাইগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ২০১৪ সাল থেকে যত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয়েছেন তাদের সব নথি চাইল রাজ্য শিক্ষা দফতর। সাত বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় নথি খুঁজে বের করতে হিমসিম অবস্থা দফতরের। কিছু নথি পাওয়া গেলেও এখনো অনেক নথি পাওয়া যায়নি তবে খোঁজ চলছে বলে জানালেন সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায়।
রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরেই শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায় বলেন, “স্কুল শিক্ষা দফতরের সেক্রেটারি আমাদের কাছে চিঠি দিয়েছেন, ২০১৪ সালের জলপাইগুড়ি জেলায় যারা প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছেন তাদের সব নথি জমা করতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি সময় মত নথি শিক্ষা দফতরকে পাঠাতে হবে।”
ছবি: লৈক্ষ্যমোহন রায়, চেয়ারম্যান জলপাইগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে যারা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন তাদের মৌখিক পরীক্ষা থেকে চাকরিতে যোগ দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত নথি খুঁজে বের করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় আবেদন পত্র, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, কোন স্কুলে পরীক্ষায় হয়েছিল, সব পরীক্ষায় ওই প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন কিনা,পরীক্ষার খাতা এরকম একাধিক তথ্যের খোঁজ চলছে।