জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৫ অক্টোবর:
রাজ্যের অন্যান্য অংশের মতোই জঙ্গলমহল থেকে উঠে যেতে বসেছে বাংলা সংস্কৃতির প্রাচীন ঐতিহ্যশালী যাত্রাপালা। কলকাতার নামীদামি অপেরাগুলির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে দুর্গাপূজা কমিটিগুলি নিজস্ব উদ্যোগে এতদিন গ্রামীণ শিল্পীদের নিয়ে যাত্রাপালা করতো। কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে তা আর প্রায় চোখেই পড়ে না।
জঙ্গলমহলের নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম, জামবনি, বেলপাহাড়ি, শিলদা, বিনপুর, লালগড়, রাইপুর, ফুলকুসমা, সারেঙ্গা, বান্দোয়ান, ঝিলিমিলি, খাতড়া এলাকায় এক দশক আগেও গ্রামে গ্রামে যাত্রাপালার আসর বসতো।
ঝাড়গ্রাম জেলার শিলদা এলাকার প্রবীণ যাত্রা অভিনেতা বরেণ হাজরা বলেন, এই প্রজন্মের যুবকরা বিমুখ হওয়ায় যাত্রা আমোদি মানুষের সংখ্যা কমতে কমতে তলানীতে ঠেকেছে। মানুষ ক্রমশ ব্যান্ড অর্কেস্ট্রা ও ডিজের মত চটুল সংস্কৃতিতে মজেছে। ফলে যাত্রা নাটক ছৌ ও পাইক নাচের মতো বাংলার ঐতিহ্যশীল সংস্কৃতি আজ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে শিবরাত্রির সলতের মতো টিম টিম করে জ্বলছে। তবুও আশার কথা, গত বছর এড়গোদা সহ দু-তিনটি সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির উদ্যোগে এলাকায় দু- এক রাত্রি যাত্রাপালা হয়েছে।