
সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৬ অক্টোবর: কালী পুজোর পরের দিন রাতেই সোনামুখী শহরের ৩ টি কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক ভাবে প্রতিমার অলঙ্কার চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তিনটি মন্দিরের দেবী প্রতিমার খোয়া যাওয়া অলঙ্কারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
বাঁকুড়া ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে কালী পুজো ও বিসর্জনের জন্য সোনামুখীর আলাদা একটা আকর্ষণ আছে। সোনামুখী জনসমুদ্র হয়ে ওঠে কালী পুজোর সময়। সেই সময় এই চুরির ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। কালী ও কার্তিকের শহর হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়া জেলার প্রাচীন পৌরশহর সোনামুখী। মঙ্গলবার কালী পুজোকে কেন্দ্র করে গোটা সোনামুখী শহর মেতে উঠেছিল। সেই সুযোগে কালী পুজোর পরের দিন গভীর রাতে ৩ টি কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুজো কমিটির সদস্যদের কাছে জানা যায়, সোনামুখী পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চ্যাটার্জি পরিবারের চামুন্ডা কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে। চামুন্ডা কালীতলা এলাকার চ্যাটার্জি পরিবারের সদস্য তারাপদ চ্যাটার্জি সহ অন্যান্যেরা এই অভিযোগ জানান।
অন্যদিকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী পরিবারের ৫০০ বছরের কালী মন্দিরে আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার গয়না খোওয়া গিয়েছে। চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা শ্রীচরণ মুখোপাধ্যায় এই খবর দেন।
অন্যদিকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণবাজার এলাকায় বারোয়ারি কালী মন্দিরে অপর চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানেও আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাতের অন্ধকারে শহরের ৩ জায়গায় পরপর চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাতে শহরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। স্হানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, একটি দুষ্কৃতি চক্র এই কাজ করেছে। তারা সোনামুখী শহরে পুলিশি নজরদারি জোরালো করার দাবি জানিয়েছেন। সোনামুখীর পৌরপ্রধান সন্তোষ মুখার্জি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, এই চুরি দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন। তবে এর পেছনে একটি চক্র কাজ করছে বলেও তিনি মনে করেন। কোনো চক্র ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়।