চিটফান্ড মামলায় জেল ফেরত ব্যক্তিই আজ রাজ্যপাল সম্পর্কে মর্যাদা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনছেন: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়

আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৮ নভেম্বর:
চিটফান্ডের মামলায় জেল ফেরত ব্যক্তিই আজ রাজ্যের রাজ্যপাল সম্পর্কে মর্যাদা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনছেন। তিনি নিজেকে আয়নায় দেখুন, তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে তিনি এই অভিযোগ করতে পারেন কিনা? কারণ রাজ্যের রাজ্যপাল রাজ্যের অধিনায়ক। রাজ্যপালের হাত দিয়েই সরকারের সব আদেশই কার্যকরী হয়। তাই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উচিত তার নেতা-মন্ত্রীদের বোঝানো যে, রাজ্যপালের সাথে কেমন ব্যবহার করতে হয়। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা একটি স্পেশাল জেলা। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন। উনি এমনই একজন ব্যক্তি যে কিনা পুলিশ সুপারের চেয়ারে গিয়ে বসে পড়ে নিচুতলার পুলিশদের নির্দেশ দেন। বীরভূম জেলায় এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। কিন্তু তার অর্ধেক দোষীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উল্টে এক হাজারের বেশি বিজেপি নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। বাইরে যেসব নেতারা রয়েছেন তাদের উপরেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।

বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অবৈধভাবে সম্পত্তি আদায় করছে এবং অবৈধ ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। তার দলের অনেক লোক জাল নোটের কারবারে যুক্ত রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার উপরে কেনও এত আস্থাশীল? কেনই বা তার প্রতি এত দয়া রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সেটা পরিষ্কার করা দরকার।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here