আমাদের ভারত, হুগলী, ৪ এপ্রিল: জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে জেনেও ব্যবস্থা নিতে লাগল দুমাস। লকডাউন না করে আগেই বন্ধ করা যেত আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উড়ান সহ ট্রেন চলাচল। এখন বলছেন বাতি জ্বালাতে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিষোদগার করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। এদিন চুঁচুড়ার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিতে এসেছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। স্থানীয় বিধায়কের এলাকায় গরিব মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী দিতে এসে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁর আরোও ক্ষোভ ফেব্রুয়ারি মাসেও রাজ্যের আর এক সাংসদ সৌগত রায় প্রধানমন্ত্রীকে কোভিড-১৯ নিয়ে প্রস্তাব দিতে গেলে ছুটি চাওয়ার বাহানায় তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন মোদী, তাহলে আজ কি করছেন তিনি! আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালিয়ে রাজনীতি হলেও করোনা যে দূর হয় না তাও মনে করিয়ে দেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।
এদিকে গতকালই হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ধনিয়াখালির এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল সাইটে প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাতের দিকে ওই যুবকের মৃতদেহের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। শ্রীরামপুরের সাংসদের অভিযোগ, করোনা নিয়ে এই ধরনের গুজব ছড়ানোর দায়ে জেলে পাঠানো হোক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি একজন সাংসদ হয়েও কিভাবে এই মহামারী নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন তারও বিষোদগার করেন কল্যাণ বাবু। এমন কি তাঁকে দায়িত্ব জ্ঞানহীন বলেও মন্তব্য করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।