আমাদের ভারত, ৩ মার্চ: যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় এবং তার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় পদত্যাগ করলেন বিজেপি শাসিত কর্নাটকের জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি। ঘটনায় পদ্ম শিবির বেশ চাপের মুখে। যদিও অভিযুক্ত মন্ত্রী বলেছেন, এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যদি এই ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয় তবে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তিনি জানিয়েছেন, নীতির জায়গা থেকেই মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন তিনি।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে ইয়েদুরাপ্পাকে পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যের থেকে অনেক দূরে। স্বচ্ছ তদন্ত হোক। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। আমি এখন নীতির জায়গা থেকে মন্ত্রিত্ব ছাড়ছি আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করুন।”
জানা গেছে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠেছে কর্নাটকের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ওই মহিলার সঙ্গে অপ্রস্তুত অবস্থায় রমেশের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। আর স্বাভাবতই এতে অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে চাপে পড়েই পদত্যাগ করতে হয়েছে রমেশকে।
এক সমাজকর্মী এই ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দপ্তরে চাকরির লোভ দেখিয়ে তরুণীকে ফুসলিয়ে সহবাসে বাধ্য করেছিলেন রমেশ।তরুনীর পরিবারের তরফে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই সমাজকর্মী আরও বলেন, কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই মামলা একার পক্ষে লড়াই করা সম্ভব নয় তাই সাহায্য চেয়ে তার কাছে এসেছিল মেয়েটির পরিবারের লোকজন। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পরেও নিজের কথা রাখেননি এই মন্ত্রী। মেয়েটির পরিবার বিচার চাইছেন।
কর্ণাটকের অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের অন্যতম রমেশ। বেলগাভি এলাকায় তার বেশ ভালো প্রভাব রয়েছে। খুব শীঘ্র বেলগাভিতে উপনির্বাচন রয়েছে। তার আগে গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
যদিও ভিডিওটি ভুয়ো বলে দাবি করেছেন রমেশ। তার দাবি এটা একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯- কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে যে জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রমেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। রমেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদদুরাপ্পা কোনো মন্তব্য করেননি।