
আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৩ মার্চ: ছেলে ধরা সন্দেহে অসহায় লটারি বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ পতিরামে। ভিডিও ভাইরাল ফেসবুকে। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এমন ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয়দের। বালুরঘাটের পতিরাম তালতলা মোড় এলাকার এমন ঘটনায় আলোড়ন জেলাজুড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত ওই যুবকের নাম সুজন পাল। বালুরঘাটের বঙ্গী পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা সে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকার মারমুখী যুবকদের হাত থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচে ওই যুবকের। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে গোটা জেলাজুড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শারীরিক অক্ষমতার কারণে বাড়ির সদস্যরা রোজগারে অক্ষম। যে কারণে লটারির টিকিট বিক্রি করে সংসার চালায় আক্রান্ত সুজন পাল নামে ওই যুবক। বৃহস্পতিবার কিছুটা রুজিরোজগারের আশায় টিকিট বিক্রি করতে বালুরঘাট থাকে পতিরাম যায় অসহায় ওই যুবক। সাংসারিক চাপে খানিকটা নাছোড়বান্দা ভাবেই হাতে পায়ে ধরে সাধারণ মানুষের কাছে টিকিট বিক্রি করে বালুরঘাটের ওই যুবক। ওইদিন পতিরামে টিকিট বিক্রি করার সময় তাঁকে ছেলে ধরা সন্দেহে মারধর করে কিছু বাসিন্দা বলে অভিযোগ। যার পর তাঁর ছবি ও হুশিয়ারির ভিডিও দিয়ে ফেসবুক পোস্টে লেখা হয় বাচ্চা চুরি করতে এসে ধরা পড়েছে ওই যুবক। শেয়ার করুণ আপনারা এই ছবি এমনটাও লেখা হয় ওই পোস্টে। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরে দিনের আলোতে এমন ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কেন নিশ্চুপ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ছেলেধরার গুজব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুশিয়ারির পরও পুলিশের নাকের ডগায় কিভাবে ঘটলো এই ঘটনা তা নিয়ে প্রশ্ন এখন পতিরামে। ঘটনার পরও পুলিশ কেন অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
আক্রান্ত যুবক সুজন পাল বলেন, তাঁর অভাবের সংসার। টিকিট বিক্রি করে কোনওমতে তাদের দিন কাটে। মিথ্যে অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়েছে তাঁকে। মিথ্যে অপবাদ দিয়ে ফেসবুকেও তার ছবি ছাড়া হয়েছে।
পতিরাম ফাঁড়ির ওসি দেবব্রত মিশ্র জানিয়েছেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ঘটনার তদন্তের পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।