রাজেন রায়, কলকাতা, ৬ মে: রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। এই হাসপাতালকে আলাদা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে বিবেচনা করার দাবিও উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতেই মোক্ষম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুরে ট্যুইটে তিনি ঘোষণা করেন, রাজ্যের ৬৮ তম করোনা হাসপাতাল হিসাবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চালু হতে চলেছে। এখানে ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস’ (সারি) রোগীদের চিকিৎসা চলবে।
প্রসঙ্গত, এই হাসপাতালকে রাজ্যের প্রথম করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিভিন্ন প্রাথমিক সমস্যার কারণে এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে তা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু প্রাথমিক সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, এই হাসপাতালে যেহেতু করোনা রোগীদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে, তাই এটিকেই করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করে রোগীদের চিকিৎসা শুরু করা হবে।
সেই মত আগেই ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতাল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে জানিয়ে দিলেন, পুরোদস্তুর করোনা হাসপাতাল হিসাবে কাজ করবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডা: ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত। আপাতত সুপার স্পেশ্যালিটি বিল্ডিংয়ের ২০০টি বেডে করোনা রোগী ভর্তি করা হবে। আর যদি করোনা উপসর্গ নিয়ে কোনও রোগী আসে তবে তাঁকে গ্রিন বিল্ডিংয়ের দোতলায় ভর্তি নিয়ে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। করোনা পজিটিভ হলে রোগীকে সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকে স্থানান্তরিত করা হবে। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনেই রোগীদের লালারসের যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হবে।’