স্নেহাশিস মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ৩১ জুলাই
এক আমবাগান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক পুলিসকর্মীকে উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘটনা।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ কৃষ্ণনগরের রাধানগর আমবাগানে গুরুতর আহত অবস্থায় এক পুলিশকর্মীকে পাওয়া যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় এবং আঘাতে মুখ গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকাবাসী দেখে ফোন করে কোতোয়ালি থানায়। প্রাথমিকভাবে তার মুখে ইটের গুঁড়ো লেগে থাকার জন্য কেউ বা কারা তাকে ইঁট দিয়ে আঘাত করেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। আগের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা, নাকি তিনি যাদের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন তাদের রোষানলে পড়লেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এলাকায় সূত্রে জানা যায় ৪৮ বছর বয়সী ওই পুলিশ কর্মীর নাম প্রীতম রায়। নবদ্বীপ থানায় তার পোস্টিং, কনস্টেবল আইডি ২৬৩। গত বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্তা মোর্চার জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী সিলভি সাহার দেহরক্ষী ছিলেন তিনি , বর্তমানে নবদ্বীপের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহার নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজে নিযুক্ত। আজ সন্ধ্যে নাগাদ কৃষ্ণনগর নাজিরা পাড়ার বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাড়ি ঢোকার আগেই, কেউ বা কারা অপহরণ করে নিয়ে এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।
তিনি কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গুরুতর অসুস্থ বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে।
প্রীতম রায়ের স্ত্রী পিংকি রায়ের দাবি, তার স্বামী ১৫ দিন পর বাড়ি ফিরছিলেন। আগে তার স্বামী কৃষ্ণনগরে ছিলেন, দুমাস হল নবদ্বীপ থানায় পোস্টিং হয়েছে। বিকেল ৩.৩০টা নাগাদ তার স্বামীর সাথে কথা হয় যে তিনি বাড়ি ফিরছেন। হঠাৎ পাঁচটার সময় পাড়ার সবাই তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলে প্রীতম দা’কে কে মেরে ফেলে রেখেছে। পরে জানতে পারলাম পাশের পাড়ার পিকে বলে একটা ছেলে আমার স্বামীকে মেরেছে। যাকে আমরা নিজের ছেলের মতন ভালোবাসি সে এবং তার কিছু বন্ধু আমার স্বামীকে মেরে ফেলে রেখেছে। আমি নিজে ওকে কাকিমার মত দেখি। কিন্তু কেন এটা করল আমি বলতে পারছি না। আমি ছোট থেকে ওকে দেখেছি, আমার মাথায় আসছে না কেন এভাবে আমার স্বামীকে ওরা মারলো। ওর কোনও শত্রু নেই। তবে যাকে আমি সন্তানের মতন ভালবাসতাম, যাকে আমি সব কিছুতেই সাহায্য করতাম, সে ওরকম ভাবে আমার স্বামীকে মারল কেন? প্রশাসনের কাছে আমার দাবি ওর কাছ থেকে কথা বার করুক এবং ওর শাস্তি হোক।