শিশু মৃত্যুর ভুল খবরে ভাঙ্গচুর কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতালে

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১৮ অক্টোবর:
শিশুমৃত্যুর ভুয়ো খবর শুনতেই ভাঙ্গচুর হলো জেলা সদর হাসপাতাল। কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত পর্যন্ত এক মহিলাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

জানা গেছে, শান্তিপুরের বাগদিয়ার বাসিন্দা চম্পা খাতুন বিবির বাড়িতেই প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল। এরপর তাঁকে সদর হাসপাতালে আনার পথে রাস্তাতেই তিনি একটি সন্তান প্রসব করেন। শিশুটির ওজন ছিল এক কেজি ২০০ গ্রাম। জন্মের পর থেকেই শিশুটি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল। তাকে নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল। শিশুটির মা চম্পা ভর্তি আছেন প্রসূতি বিভাগে।

শিশুটির পরিবারের দাবি, শনিবার সকালে হাসপাতালের এক কর্মী চম্পার শাশুড়িকে জানায় যে শিশুটি মারা গেছে। তিনি ওয়ার্ড থেকে নিচে নেমে বাড়ির লোকজনকে সেই খবর দেন। এরপর পরিবারের লোকেরা ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে গিয়ে শিশুটির মৃতদেহ চান। কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাস্টার সুভাষ রায় জানান, আমার কাছে এরকম কোনও খবর নেই। শিশুটির বাবা জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, হাসপাতালে একজন আমার মাকে বলেছিল যে আমাদের বাচ্চা মারা গিয়েছে। আমরা তারপর থেকেই ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে গেছি এবং আমাদের বাচ্চার সম্বন্ধে জানবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এরপর সন্ধ্যা নেমে আসে। সন্ধ্যেবেলায় একজন ডোম খবর নিয়ে আসে যে আমাদের বাচ্চা মারা যায়নি। সে বেঁচে আছে। এরপরেই ভাঙ্গচুর শুরু হয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কেন শিশু মৃত্যুর ভুল খবর দেওয়া হল সেই প্রশ্ন তুলে পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, গেটের কাচ, দেওয়ালের ঘড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়। এমনকি হাসপাতালের কর্মীদেরও মারধর করে।
সদর হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দত্ত জানান শিশুটি বেঁচে আছে এবং ভালো আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *