আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১৩ মে: করোনা সংক্রমণের ফলে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আর এই করোনাকে মোকাবিলা করার জন্য একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীরা। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এই স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই কিট সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় এনিয়ে অল্পবিস্তর বিক্ষোভও দেখিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের এই অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাদের পাশে দাঁড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীর কুলতলি মিলনতীর্থ সোসাইটি। বুধবার বিকেলে দ্বিতীয় দফায় বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই কিট তুলে দিলেন এই সংস্থার কর্ণধার লোকমান মোল্লা।
লকডাউনের শুরু থেকেই বিভিন্ন ভাবে এলাকার মানুষ, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে কুলতলি মিলনতীর্থ সোসাইটি। লকডাউনের শুরুতেই প্রথম দফায় ক্যানিং মহকুমার প্রতিটি থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়েছিল এই সংস্থা। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল, বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে মাস্ক, পিপিই কিট, স্যানিটাইজার সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছিল সংস্থার পক্ষ থেকে। এছাড়াও একাধিকবার এলাকার দুঃস্থ মানুষকে চাল, ডাল, সোয়াবিন, তেল সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এক হাজারের বেশি মানুষের পাশে ইতিমধ্যেই দাঁড়িয়েছে এই সংস্থা। এছাড়াও সংখ্যালঘু পরিবারগুলির কথা মাথায় রেখে আগামীদিনে ঈদ পালনের জন্যও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দুঃস্থ পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন লোকমান মোল্লা।
তিনি বলেন, “ দেশের এই জরুরি অবস্থায় যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ বলে মনে করেছি। আর সেই কারণেই তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানের চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি এলাকার দুঃস্থ মানুষজন কেউ যাতে অনাহারে না থাকেন সেই কারণে তাদের হাতেও কিছু সাহায্য তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি”।