লক্ষ্মী পুজোর সকালে হঠাৎই বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল ব্যারাকপুরের কালিয়ানিবাস এলাকা

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২০ অক্টোবর: লক্ষ্মী পুজোর সকালে হঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল ব্যারাকপুরের কালিয়া নিবাস এলাকা। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল ওই এলাকায়।

ব্যারাকপুরের কালিয়ানিবাসে ঘটা বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বাড়ির ছাদ সহ ঘরের সমস্ত দরজা জানালার কাঁচ ফেটে যায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছে ওই বাড়ির তিনজন বাসিন্দা। তাদের মধ্যে দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিন বেলা ১১টা নাগাদ সবাই যখন লক্ষ্মী পুজোর জোগাড় করতে ব্যস্ত ছিল ঠিক তখনই এই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রতক্ষ্যদর্শীদের মতে বাড়িওয়ালা অরুন্ধুতি রায় তার নিজের বাড়িটি দুই ভাড়াটিয়াকে ভাড়া দিয়ে চলে যান। দুটো পরিবার থাকতো এই বাড়ির নীচের তলায়। ওই ভাড়াটেদের মধ্যে একজনের ঘরে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন ব্যারাকপুরের পৌর প্রশাসক উত্তম দাস। তিনি বিষয়টি থানায় জানান, সেই সঙ্গে দমকলেও খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে টিটাগড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই বিস্ফোরণের ফলে আগুন লেগে যায়। দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন এসে ওই আগুন নেভায়।

আগুন নিভলে সেই ঘরে গিয়ে দেখা যায় অনেকগুলো কেমিক্যালের ড্রাম। দুটো পরিবারের একটি পরিবারের সদস্য সংখ্যা এক জন। সে একাই থাকতো বলে জানাগেছে যার নাম সাঈদ জিন্দাল। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে তারা বলে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু ঘরে গিয়ে দেখা যায় তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ দুই পরিবারের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এই বাড়ির এক ভাড়াটে রাজু মল্লিক স্বীকার করেছে সে সমস্ত রকম নেশা করত কিন্তু এই ঘটনায় তার কোনও হাত নেই। কারণ তাল্লাশিতে ঘরের ভেতর থেকে মদের বোতল ড্রাগের পুরিয়া উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভেতরে যা কেমিক্যাল পাওয়া গেছে সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে টিটাগর থানার পুলিশ।

এদিন ব্যারাকপুরের পৌর প্রশাসক উত্তম দাস বলেন, “আমি বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত এসেছি। গ্যাসের অফিসের থেকেও লোক এসেছে, পুলিশ এসেছে। কিন্তু আমরা ভেতরে গিয়ে দেখেছি যে কোনও গ্যাস সিলিন্ডার ফাটেনি সব কটাই ঠিক আছে। তাই এর পেছনে সেরকম কোনও ঘটনা আছে কি না বা কিসের থেকে এসব ঘটল তার তদন্ত করছে পুলিশ। যার ঘরে বিস্ফোরণ হয়েছে পুলিশ তাকে আটক করেছে। তবে এটা খুবই আতঙ্কের বিষয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *