ফারাক্কার কুলি দিয়ার গ্রামে গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে গেল ১০টি বাড়ি ও প্রাচীন মন্দির, আতঙ্কে বাসিন্দারা

আমাদের ভারত, মুর্শিদাবাদ, ১৬ আগস্ট: ফের ভাঙ্গনের কবলে ফরাক্কা ব্লক। মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কাতে গঙ্গা ভাঙ্গন নতুন কিছু নয়। গঙ্গার জলস্তর বাড়ার ফলে বেশ কয়েক দিন ধরেই ভাঙ্গনের মুখে কুলিদিয়ার গ্রামের বাসিন্দারা। বেশ কিছুদিন ধরেই ফরাক্কার হোসেনপুরে ভাঙ্গন চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে। হোসেনপুর চরের পাশাপাশি এবার ভাঙ্গনের মুখে কুলি দিয়ার গ্রাম। গ্রামে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে রবিবার সকাল সাতটার পর থেকে। ভাঙ্গনের কবলে রবিবার প্রায় ১০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। প্রায় ১০টি বাড়ি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে, পাশাপাশি তলিয়ে গিয়েছে একটি প্রাচীন মন্দির। এক সপ্তাহ আগে একটি দুশো মিটারের ঢালাই রাস্তাও গঙ্গা গিলেছে। পাশাপাশি একটি উপ স্বাস্থকেন্দ্র নদীর গাঁ ঘিষে নদীর বক্ষে ঝুলছে বর্তমানে। ভাঙ্গনের জেরে ফরাক্কা ব্যারেজের দিকে আঙুল তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। কয়েক দিনের ভাঙ্গনে মোট ১৮০টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গার ভাঙ্গনে।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, রবিবার সকাল সাতটার পর থেকে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এবং গঙ্গার জল ঢুকে গ্রামের একাংশ প্লাবিত। প্রায় ১০টি ঘর ভেঙ্গে গেছে ইতি মধ্যেই এবং ভাঙ্গনের জেরে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় না পেয়ে মাঠে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গ্রামের একটি মাত্র যে ত্রাণ শিবির ছিল সেটিও তলিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারনণ মানুষ ল। গঙ্গার জল বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই সমস্যা। গঙ্গার জলস্তর না কমলে ভাঙ্গনের গ্রাসে চলে যাবে সমগ্র গ্রাম। রবিবার সকাল থেকেই ভাঙ্গনের জেরে বাড়ি সহ একটি প্রাচীন মন্দির তলিয়ে গিয়েছে। যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ভিটেহারা সাধারণ মানুষ এখন পুর্নবাসনের জন্য সরকারের কাছে দাবি রেখেছেন। খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় পরিবারের সদস্যরা।

ফরাক্কা বিডিও রাজর্ষি চক্রবর্তী জানান, কুলি দিয়ার গ্রামে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ও নদীর পারের কিছু মানুষের বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এখানে এসে ত্রিপল তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০টি বাড়ি, গ্রামের রাস্তা ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রাচীন মন্দির তলিয়ে গিয়েছে, ভাঙ্গন কবলিত সাধারণ মানুষদের অস্থায়ী ভাবে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে এবং অন্য কোথাও যাতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তার ব্যাবস্থা করা, হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *