জয় লাহা, দুর্গাপুর, ২৫ সেপ্টম্বর: সেচ ক্যানেলের পাড় কেটে চলছে অবাধে মাটি পাচার। এরফলে এনআরজিএসের কংক্রিটের রাস্তা ধসে পড়ার আশঙ্কা। আবার ওই মাটি অন্য রাস্তার পাশে ভরাট করে প্রমোটারির অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি গলসী-১ নং ব্লকের মানকর পঞ্চায়েতের মাড়ো-নতুনগ্রাম এলাকায়।
ঘটনায় জানা গেছে, পানাগড় শিল্পতালুক লাগোয়া মানকর পঞ্চায়েতের মাড়ো ও নতুন গ্রাম। ওই গ্রাম দুটির পাশ দিয়ে চলে গেছে শিল্পতালুকে যাওয়ার রাস্তা। আর তার ফলে গ্রাম সংলগ্ন রাস্তার পাশে নয়নজুলির কদর বাড়ছে। রাস্তার পাশে নতুন করে বসতে শুরু করেছে দোকান। আর তাতেই বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। রাস্তার পাশে নিচু জমি মাটি ভরাট করে প্রমোটারির অভিযোগও উঠেছে। আর ওই মাটি নিয়ে আসা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী সেচ ক্যানেলের পাড় কেটে। আর তাতে উঠছে প্রশ্ন।
ক্যানেলের পাড়ে নতুন গ্রামে যাওয়ার কংক্রিটের রাস্তা রয়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাস্তাটি এনআরজিএস প্রকল্পে কংক্রিট করা হয়েছে। যেভাবে মাটি কাটা হয়েছে, তাতে ওই কংক্রিট রাস্তা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ওই ক্যানেল পাড়ে হাইটেনশন লাইন। প্রশ্ন, ক্যানেল পাড় থেকে কিভাবে কাটা হচ্ছে মাটি? ভুমি রাজস্ব আইন অনুযায়ী, কোথাও মাটি কাটতে হলে রয়্যালটি দিয়ে স্থানীয় বিএলআরও–র কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। একই সঙ্গে কোথাও নিচু জমি মাটি ভরাট করে চরিত্র পরিবর্তন করতে হলে তারও অনুমতি নিতে হয়। অভিযোগ, সেসব অনুমতির তোয়াক্কা না করেই ক্যানেলের পাড় থেকে মাটি কাটা হচ্ছে।
বিজেপির বর্ধমান সদর জেলার সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেন, “তৃণমূলের জামানায় বালি, মাটি, কয়লা চুরির বাড়বাড়ন্ত। সেচ ক্যানেলের পাড় থেকে যেভাবে মাটি কাটা হয়েছে, তাতে ভরা বর্ষায় ক্যানেলের জল উপচে চাষের জমি প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি, যেভাবে মাটি কাটা হয়েছে, তার পাশে কংক্রিটের রাস্তাটি ধসে ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “শিল্পতালুকের আসা যাওয়ার ওই রাস্তার পাশে নিচু জমি মাটি ভরাট করে প্রমোটারি চলছে। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাব এবং তদন্ত করে এধরনে পরিবেশ বিরুদ্ধ কাজ যাতে বন্ধ হয় তার দাবি জানাচ্ছি।” গলসী-১ বিডিও দেবলীনা দাস বলেন, “বিষয়টি জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”