গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে চূড়ান্ত চেষ্টা রাজ্যের, একদিনে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হলো লক্ষাধিক

আমাদের ভারত, ৩১ মার্চ :সোমবারই স্বস্তি দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। জানিয়েছিল দিয়েছে ভারতে এখনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌছায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী যুগ্মসচিব জানিয়েছিলেন, “আমরা এখনো স্থানীয় সংক্রমণের পর্যায়ে রয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতিকে কোনোভাবেই গোষ্ঠী সংক্রমণ বলা যায় না।” কিন্তু ভারতে ক্রমেই বাড়ছে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা। ১৪০০ গণ্ডি পেরিয়েছি করোনার আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যেও সমানতালে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই কোনো গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে গত ২৪ ঘন্টায় লক্ষাধিক মানুষকে হোম কয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। আর এই পরিস্থিতিতেই গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। আর সেই প্রচেষ্টারই অঙ্গ হিসেবে দেখা গেল একদিনে এক লক্ষেরও বেশি মানুষকে পাঠানো হলো হোম কোয়ারান্টিনে।

প্রতিদিন স্বাস্থ্য ভবন যে বুলেটিন প্রকাশ করে তার হিসেব বলছে সোমবার রাজ্যে হোম কয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছিল ৪৭০৯১জনকে। আর মঙ্গলবার বিকেলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০৪৮২। অর্থাৎ একদিনের মধ্যে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে ১০৩৩৯১ জনকে।

বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছেন এই সময়টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে এই ধরনের সিদ্ধান্ত না নিলে গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়ানোর যাবেনা। তার সঙ্গে দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সভায় রাজ্যের ৭৩ জন যোগ দেওয়ার বিষয়টি আরও আতঙ্ক বাড়িয়েছে। এই রাজ্য থেকে নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন প্রায় ৭৩ জন। তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব। একইসঙ্গে তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছে সেইরকম ১১৬ জনকে এখনো পর্যন্ত শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *