চন্দননগরে গভীর রাতে  সাংবাদিক ও তার  পরিবারকে হেনস্থার  অভিযোগ উঠল পুলিশের  বিরুদ্ধে 

আমাদের ভারত, হুগলী, ১৯ জানুয়ারি: নাইট 
কারফিউ চলছে, এই অজুহাত দিয়ে সাংবাদিক  ও তার পরিবারকে ব্যাপকহেনস্থার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি 
ঘটেছে চন্দননগর থানার বাগবাজার জিটি রোডের 
উপর। আক্রান্ত ওই সাংবাদিকেরনাম তাপস মণ্ডল।তিনি একটি দৈনিক খবরের কাগজের হুগলী জেলার সাংবাদিক। 

জানা গিয়েছে, সারা দিনের 
খবরের কাজ সেরে রাতে শ্রীরামপুর থেকে স্ত্রী ও 
ছোট বাচ্ছাকে নিয়ে চুঁচূড়ায় ফিরছিলেন ওই
সাংবাদিক। সেই সময়ে চন্দননগরের 
বাগবাজারে জিটি রোডেরউপর একজন পুলিশ কর্মীঅন্ধোকারে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ সেখান থেকে 
বেড়িয়ে হাত দেখিয়ে সে সাংবাদিককে দাঁড় করায়।সাংবাদিক কিছু না বুঝেই সেখানে দাঁড়িয়ে পড়েন।এই ঘটনায় তিনি পুলিশ কর্মীর উদ্যেশ্যে বলেন, 
অন্ধকার থেকে বেড়িয়ে এভাবে কেউ বাইক দাঁড় 
করায়? আপনি শীতের পোশাক পরা রয়েছেন 
আমি কিভাবে বুঝবো আপনি পুলিশ কর্মী? ব্যাস এইটুকু প্রশ্ন করতেই আশপাশ থেকে কিলবিল করে কয়েকজন পুলিশ কর্মী জড়ো হয়ে যায়।শুরু হয় সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা।পুলিশ কর্মীরা সাংবাদিকের বাইকের 
চাবি কেড়ে নেন। পুলিশ ঘনঘন সাংবাদিক  ও তার স্ত্রী ও বাচ্ছার ছবি তুলতে শুরু করে।সেই সময়ে সাংবাদিকের সঙ্গে তার বাইকে বসে 
থাকা তার স্ত্রী ও ছোট বাচ্ছা পুলিশের এহেন 
ভূমিকায় ভয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রবল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন 
সাংবাদিকের পরিবার। সাংবাদিক পরিচয় 
পাওয়ার পরও পুলিশ 
কর্মীরা ওই সাংবাদিককে নাছোরবান্দা হয়ে বিভিন্ন আছিলায় ক্রমাগত হেনস্থা করতে থাকেন। সেই সময়ে ঘটনাস্থল 
থেকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ 
কমিশনার অর্ণব ঘোষকে ফোন করে সাহাজ্য 
প্রার্থনা করার চেষ্টা করেন ওই সাংবাদিক।কিন্তু, পুলিশ কমিশনার রাত ১২টা ১৩ মিনিটে 
সাংবাদিকের ফোন 
ধরেননি।এই সুযোগে পুলিশ কর্মীরা সাংবাদিককে বিভিন্ন 
রকম জেরা করতে থাকেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন একজন পুলিশ 
অফিসার। এরপর তিনি সাংবাদিকের সরকারি 
প্রেস কার্ড, গাড়ির লাইসেন্স সহ একাধিক 
পরিচয় খতিয়ে দেখেন। কাগজপত্র দেখার নামে শীতের রাতে এই ভাবে প্রায় আধঘন্টা 
সাংবাদিকের পরিবারকে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর সাংবাদিকের স্ত্রী  কেন হেলমেট পড়েননি। এই কারণ  দেখিয়ে ফাইন নিয়ে তবে সাংবাদিককে ছাড়া হয়।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তি বলেন, এটা খুব বাজে ব্যাপার। সাংবাদিক নিগ্রহ খুব খারাপ কাজ। আপনি থানায় একটা অভিযোগ করুন।

এই বিষয়ে পুলিশ 
কপিশনার অর্ণব ঘোষকে ফোন করা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি এই বিষয়ে আরও কিছু বিস্তারিত জানতে চেয়ে সাংবাদিককে
হোয়াটসঅ্যাপ করেন। কিন্তু সিপি কিছু বলতে চাননি। তাই তার বক্তব্য জানা জায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *