অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ১৬ আগস্ট: ঝাড়্গ্রামে চোর ধরো জেলে ভরো কর্মসূচিতে যোগ দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহরের হিন্দু মিশন মাঠ থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথার মোড় এলাকায় আসে। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো সহ বিজেপির একাধিক নেতারা।
এদিন মিছিল শেষে পথসভা থেকে রাজ্যে সরকারকে একাধিক ভাষায় আক্রমন করলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বাংলার সিরিয়ালে যা দেখায় এখন তৃণমূলে তাই দেখা যাচ্ছে। একজনের একাধিক বৌ।আমরা দেখলাম সোনার বাংলা হয়েছে। তৃণমূল নেতা আর বান্ধবীদের ঘর থেকে সোনা উদ্ধার হচ্ছে।চোরদের আবার দাবি, এই চাই ওই চাই। পাঁঠার মাংস চাই। কেষ্ট পাঁঠাকে তো পাঠালাম খা ওকে। আজ ১৬ই আগস্ট দিদিমণি বলছেন খেলা হবে। আমরাও বলছি একই মাঠে খেলুুন। পুলিশকে রেখে আসুন। ১৫ মিনিটে দেখিয়ে দেবো।
পুলিশ সিভিক দিয়ে মাওবাদী পোস্টার লাগাচ্ছে আর বিজেপির লোকেদের গ্রেপ্তার করবে। পুলিশকে পা ভাঁঙ্গার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আপনারা আর এই খেলায় অংশ নেবেন না খেলায় ফাউল হয়েই থাকে। পা ভেঙ্গেই থাকে সাবধান। উপরতলার পুলিশরা দিদিকে খুশি করতে এসব করছে। আপনাদের পোষাকে অশোকস্তম্ভ আছে। হাওয়াই চটি নেই। শিক্ষা চোর গেল, গরু চোর গেল, বাকি থাকলো কয়লা চোর ভাইপো। অচিরেই দূর হবে টিএমসি নামক ময়লা।তৃণমূলের নেতারা কথায় কথায় দুবাই যাচ্ছে। দুবাই কি করতে যায় সোনা লুকাতে? আমরা শুনেছি দুবাই থেকে নাকি সোনা বৌদি সোনা আনতে গিয়ে ধরা পড়েছে। মোদীজি যখন আদিবাসী মহিলা দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করেছেন তখন উত্তরবঙ্গে আদিবাসীদের সাথে নাচতে গিয়ে দেখে নিচ্ছেন হাতে গ্লাভস্ আছে কিনা। বিরবাহা হাঁসদা তার সাথে নাচতে গেলে দূরদূর করে তাড়িয়ে দেন। আপনার বাড়িতে যেদিন সিবিআই যাবে সেদিন কেউ যাবে না। পাপের ভাগি কেউ হবে না।
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটার মাথায় কংগ্রেস ছিল। এখানে দিদির ভাইরা একাধিক কমিটির মাথায় অযোগ্য লোক থাকলে এরকমই হবে। ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানে ট্রেডিশনাল অস্ত্র সহ মিছিল হবে। বিশৃঙ্খলা হলে রাজ্য পুলিশ ও রাজ্য সরকার দায়ী থাকবে।